কলকাতা, 26 মার্চ : মাছে ফরমালিন, সবজিতে রঙ, ভেজাল ঘি'র পর এবার নকল গুঁড়ো মশলা। চালের গুঁড়ো, তুষের সঙ্গে বিষাক্ত রঙ মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল জিরেগুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদ গুঁড়োর মতো মশলা। শহর কলকাতার জোড়াবাগানে চলছে এই কারবার। খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ অভিযান চালায় আজ। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ভেজাল মশলা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারখানার মালিককে।
কিছুদিন আগে বড়বাজারে হদিশ পাওয়া গেছিল জাল ঘি তৈরির কারখানার। তারপর মিলল গুঁড়ো দুধে ভেজাল মেশানোর কারখানার। এবার ভেজাল গুঁড়ো মশলা। পুলিশ সূত্রে খবর, চালের গুঁড়ো, তুষ, কেমিকালের সঙ্গে বিষাক্ত রঙ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল গুঁড়ো মশলা। তাতে মেশানো হচ্ছিল ধনে, জিরে, হলুদ বা লঙ্কার এসেন্স। তারপর তা প্যাকেটজাত করে চালান করা হচ্ছিল বাজারে। সেই গুঁড়ো মশলাই জায়গা করে নিচ্ছিল আমার-আপনার হেঁশেলে।
জাল মশলা তৈরির এই কারখানার হদিশ পায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। তারা আজ হানা দেয় জোড়াবাগানের কাশি দত্ত স্ট্রিটের ওই কারখানায়। উদ্ধার করা হয়েছে ১১৭০ কেজি জাল গুঁড়ো মশলা। সঙ্গেই উদ্ধার হয়েছে ৩৫০ কেজি চালের গুঁড়ো, ৯০ কেজি তুস, প্রচুর কেমিকাল, ভোজ্য যোগ্য নয় এমন রঙ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই কারখানার মালিক পঙ্কজ সাউকে। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পঙ্কজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে কোথায় কোথায় এই মশলা সরবরাহ হত।