কলকাতা, 14 জুলাই: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করায় এক ইউটিউবারের(youtuber) বিরুদ্ধে একাধিক থানায় দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মনে করে 6 সপ্তাহের জন্য তদন্তের উপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী । স্বস্তিতে ইউটিউবার পুষ্পল সিংহ রায় ।
গত 5 এপ্রিল ইউটিউবার পুষ্পল সিংহ রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন ৷ যেখানে দাবি করা হয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন যার ফলে রাজ্যে সাম্প্রতিক দাঙ্গা ছড়াতে পারে এবং ফলস্বরূপ সরকারি ও ব্যাক্তিগত সম্পত্তি নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে । তাঁরা এটা করেছেন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য । এই ভিডিও ফুটেজ দেখার পর কলকাতার একবালপুর থানায় একটি এফআইয়ার করেন শেখ সাজিদ নামে এক ব্যক্তি । অন্য আর একটি এফয়াইয়ার করেন নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা সোমনাথ চক্রবর্তী । তিনি আইএনটিটিইউসির সদস্যও ।
দুটি অভিযোগই পুষ্পল সিংহের বিরুদ্ধে পুলিশ যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই আর্জি জানান হয়েছিল । বাধ্য হয়ে এফয়াইয়ার খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের(Calcutta High Court)দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুষ্পল । এদিন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই । আপাতত 6 সপ্তাহের জন্য সমস্ত ধরনের তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি ।
আরও পড়ুন: এফআইআর খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন রোদ্দুর রায়ের
প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বকে অশালীন ভাষায় আক্রমণের অভিযোগে একাধিক থানায় এফআইআর হয় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে ৷ এর পর তাঁকে গ্রেফতারও করে পুলিশ ৷ এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন ইউটিউবার রোদ্দুর রায় ।