কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর : 2014 সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুল মামলায় যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী পরবর্তীকালে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ৷ কেন এখনও সে ব্যবস্থা করা হয়নি সে প্রশ্নও করেন তিনি ৷ এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফে উত্তীর্ণ ওই প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয় ।
আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education-WBBPE) সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এটা কোনও ইগোর ব্যাপার নয় ৷ প্রার্থীরা আপনার থেকে অনেক কম বয়সী ৷ ছেলেমেয়ের মতো । আপনাদের হাতে অনেক টাকা আছে কিন্তু এই চাকরিপ্রার্থীরা আর কতদিন ধরে লড়াই করবেন ! আপনি চাইলেই এঁদের সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন ৷ তাহলে কেন ঝুলিয়ে রেখেছেন ?"
2014 সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় কী প্রশ্ন ভুল ছিল সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় 2018 সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এক নির্দেশে জানিয়েছিলেন মামলাকারীদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করে যাঁরা যোগ্য বিবেচিত হবেন তাঁদের চাকরি দিতে হবে ৷ কিন্তু 2021 সাল শেষ হতে চললেও তাঁদের চাকরি এখনও দেওয়া হয়নি ৷ আদালতের নির্দেশ এখনও কার্যকর করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । গত শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি উঠলে ক্ষুব্ধ বিচারপতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে এদিন সকাল 11টায় আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ।
পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এদিন আদালতে হাজির হয়ে বলেন, "মামলাকারী ওই চাকরিপ্রার্থীকে ইতিমধ্যেই আমরা নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি ।" এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতিকে বাকি প্রার্থীদেরও চাকরি দেওয়ার কথা বলেন ৷
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পর্ষদ সভাপতি বলেন, "জজ সাহেবকে আমি আমার কথা জানিয়েছি ৷ আমি খুব খুশি যে উনি আমার প্রত্যেকটি বাক্য অনুধাবন করেছেন ৷ এবং আমরা কথা দিয়েছি, যে যখনই আদালত থেকে এই ধরনের নির্দেশ আমরা পাব, তখনই তা আমরা আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব ৷"
আরও পড়ুন : Tet Agitation : চুঁচুড়ায় চাকরির দাবিতে ‘খেলা হবে’ আন্দোলনে 2014-র টেট উত্তীর্ণরা