কলকাতা, 28 জানুয়ারি: করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসার খরচে অস্বচ্ছতা, রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। খরচ বেঁধে দেওয়ার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলাতেই তিন সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
মামলাকারী আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্তের দাবি হচ্ছে, করোনা মহামারির মতো পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম ইচ্ছেমতো বিলের বোঝা চাপাচ্ছে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে। 2017 সালে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইন অনুযায়ী রাজ্যে যে হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে, সেগুলির পরিচালনা করার জন্য প্রত্যেক রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাতে চিকিৎসার খরচ সুনির্দিষ্ট করে বেঁধে দেয় তারা । আইনে উল্লেখ করাছিল এই ব্যাপারে স্বচ্ছতা আনতে হবে। স্বচ্ছতা কথাটা নতুন করে ঢোকানো হয়েছিল। কিন্তু, রাজ্য সরকার কিছুই করেনি।
আরও পড়ুন: রাজ্য স্কুল খুলতে তৎপর, সপ্তাহখানেক সময় দেওয়ার আর্জি অ্যাডভোকেট জেনারেলের
অভিযোগ করা হয়, রাজ্যের হাসপাতালগুলি ইচ্ছেমতো বিল বানিয়ে টাকা নিচ্ছে রোগীদের থেকে। রাজ্য এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট রেট চার্ট তৈরি করে না দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। মামলার শুনানিতে স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে আদালতে জানানো হয়, তারা বিভিন্ন হাসপাতালকে কিছু নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, মুর্শিদাবাদের একটি নার্সিংহোমের খরচ আর কলকাতা, শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ বা পরিষেবা এক নয় নিশ্চই। খরচ সেভাবেই ঠিক করা হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনকে এরপর নির্দেশে জানিয়েছে, তারা কি নির্দেশিকা দিয়েছে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে সেটা 3 সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। মামলাকারীদের যদি এর বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য থাকে তারপর তারা সেটাও জানাবে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে 4 মার্চ।