কলকাতা, 30 অগস্ট: মালদহ, বাসন্তী ও গোসাবা (Malda, Basanti and Gosaba bomb blast) বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত রিপোর্ট (Investigation report) 6 দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠাতে হবে ৷ এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । সেই রিপোর্ট দেখে কেন্দ্র ঠিক করবে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন আছে কি না । বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ এতদিন তদন্ত করছিল । সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে দেবে তারা । রিপোর্ট পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে ওই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta HC Order)।
28 মার্চ বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকার সর্দারপাড়ায় ভোরের দিকে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে আগুন লেগে যায় । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, ওই বাড়িতে বোমা মজুত রাখা ছিল ৷ বোমা বাঁধার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত কি না সেই সন্দেহও দানা বাঁধে পুলিশের মনে ৷ শুরু হয় তদন্ত ৷
অন্যদিকে 22 এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মালদার কালিয়াচক থানার গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির গোপালনগর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ৷ বল ভেবে খেলতে গিয়ে আমবাগানে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় পল্টু সাহা, মিঠুন সাহা, আবদুর রাহান, শুভজিৎ সাহা এবং বিক্রম সাহা নামে পাঁচটি বাচ্চা ছেলে । এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল ।
আরও পড়ুন: গোসাবায় বোমা বিস্ফোরণে জখম 6 বিজেপি কর্মী
মামলার শুনানিতে রাজ্যের যুক্তি ছিল, দেশের জাতীয় সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে কোনও বিপদের ঝুঁকি তৈরি হলে তবেই এনআইএ তদন্ত প্রয়োজন । এই বিস্ফোরণগুলি সে রকম কোনও বিষয় নয় । কেন্দ্রীয় সংস্থা এনাআইএ-র তরফে বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেছিলেন, "বিস্ফোরক এবং বিস্ফোরক উদ্ধার আইনে গুরুত্ব বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হিসাবে একে গ্রহণ করতেই পারে ।"
এক মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "এনআইএ-কে তদন্তভার দেওয়ার যুক্তি হচ্ছে, এর মধ্যে রাজ্যজুড়ে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে সেটাকে খুঁজে বের করার জন্য এই তদন্ত প্রয়োজন ।"
এ দিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সরাসরি তদন্তভার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে না দিলেও ঘুরিয়ে কেন্দ্রের হাতেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে । কেন্দ্র সরকার রাজ্য পুলিশের এতদিন করা তদন্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে এই ঘটনায় আদৌ এনআইএ তদন্ত প্রয়োজন আছে কি নেই ।