কলকাতা, 3 জুলাই : ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) প্রশিক্ষণ শিবির ৷ এই প্রশিক্ষণ শিবির দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নয়, নবনির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে হল ৷ শনিবার সেখানে দলের বিধায়কদের বিধানসভার আদব-কায়দা শেখানো হয়েছে ৷ কারণ, এবার বিজেপির 74 জন বিধায়কের অধিকাংশই নতুন ৷
যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই ৷ কারণ, পথেঘাটে রাজনীতি করা আর বিধানসভার অন্দরে দলের হয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত ৷ অভিজ্ঞতা না থাকলে শাসকদলের সঙ্গে লড়াই করা কঠিন হয়ে যায় ৷ তাই এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির প্রায় প্রতিটি দলই আয়োজন করে ৷
আরও পড়ুন : সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ নেতাদের সামনে রেখে বঙ্গ-বিজেপির সংগঠন সাজানোর পরিকল্পনা আরএসএস-এর
তবে বিজেপির ক্ষেত্রে আকার বড় ৷ কারণ, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মনোজ টিগ্গাদের মতো হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকিরা সবাই নতুন ৷ তাই তাঁদের ঠিকমতো শিখিয়ে-পড়িয়ে নেওয়া জরুরি ৷ তার উপর শুক্রবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপি বিধানসভার অন্দরে যেভাবে পরিকল্পিত বিক্ষোভ করেছে, তা থেকেই স্পষ্ট যে পরবর্তী পাঁচ বছর তাদের ভূমিকা কী হতে চলেছে ৷ আর সেই জন্যই প্রশিক্ষণ খুব জরুরি ৷
এদিকে বিজেপির এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ৷ তাঁর প্রশ্ন, বিজেপির আবার প্রশিক্ষণ শিবির ? প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কে ? তাঁর আরও প্রশ্ন, উত্তরবঙ্গ ভাঙতেই কি প্রশিক্ষণ শিবির ?
আরও পড়ুন : সুদীপ্ত সেনের চিঠি টুইট করে সারদায় শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি কুণালের
যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে প্রশিক্ষণ তৃণমূল কংগ্রেসেরও (Trinamool Congress) হয়েছিল ৷ সেটাও বড় মাপের প্রশিক্ষণ শিবির ছিল ৷ 2011 সালের যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে তৃণমূল ৷ তখন এই প্রশিক্ষণ শিবির হয় ৷ তাছাড়া প্রথম কেউ বিধানসভায় এলে অন্যদের থেকেও শিখে নেন ৷ তখন শাসক-বিরোধীর কোনও ভেদাভেদ থাকে না ৷ অনেক সময় দেখা যায় বিরোধী রাজনৈতিক মতের কোনও বর্ষীয়ান বিধায়ক নিয়ম বোঝাচ্ছেন প্রথমবার আসা কোনও জনপ্রতিনিধিকে ৷
আর যারা এই প্রশিক্ষণ শিবির শনিবার করলেন, তাদের কী বক্তব্য ? এদিন প্রশিক্ষণ শিবিরের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ট্রেজারি বেঞ্চ (যেখানে শাসকদলের বিধায়করা বসেন) মোকাবিলা করার জন্য বিজেপি বিধায়কদের আরও উন্নত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবির ৷