কলকাতা, 6 জুলাই : ভুয়ো টিকাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব গ্রেফতারের পর প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তৃণমূল সরকার । আর এ বার ভুয়ো সিবিআই অফিসার এবং আইনজীবী সনাতন রায়চৌধুরীর গ্রেফতারির পর অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য বিজেপি ।
ইতিমধ্যেই সনাতন রায়চৌধুরীর বাড়ি থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ । যার মধ্যে অন্যতম বিজেপির একটি লেটার প্যাড । পাশাপাশি রুদ্রনীল ঘোষ-সহ একাধিক বিজেপি নেতার সঙ্গে ইতিমধ্যেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে এই ভুয়ো অফিসারের ।
কসবার ভুয়ো টিকাকাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের গ্রেফতারির পর রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল । তারপর সামনে আসে ভুয়ো জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অফিসার ৷ আর এ বার ভুয়ো সরকারি আইনজীবী । প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একটা কমন বিষয় হল, নীলবাতি লাগানো গাড়ি ।
আরও পড়ুন: শহরে নীলবাতি লাগানো গাড়ি-সহ গ্রেফতার ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক
লালবাজার সূত্রে খবর, 25 জুন তালতলা থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোন করে নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা দফতরের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দেন সনাতন ৷ রীতিমতো হুমকির সুরে তিনি বলেন, একজন লোককে তিনি তালতলা থানায় পাঠাচ্ছেন । তাঁর কিছু সমস্যা রয়েছে । ওসি নিজে যেন সেই সমস্যার সমাধান করে দেন । কিন্তু লালবাজারে তরফ থেকে খোঁজখবর নেওয়ার পরই সত্যিটা সামনে আসে ৷ এরপর এই নিয়ে তদন্ত শুরু করে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন : সারদার সুদীপ্ত সেনের পথে হেঁটেই কি প্রতারণার জাল বিস্তার দেবাঞ্জনের ?
জানা গিয়েছে, এই নামে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা দফতরে কোনও আধিকারিক বর্তমানে নেই । বরানগরের একটি অভিজাত আবাসনের নিচেই সনাতন রায়চৌধুরীর দফতর ৷ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে কলকাতা পুলিশ আধিকারিকরা একাধিক বিজেপির কাগজপত্র পেয়েছে ৷ তাহলে কি শুধুমাত্র ক্ষমতালোভীরাই শাসক দল এবং বিরোধী দলের নেতা নেত্রী অর্থাৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে নানা মহলে ৷ এ বিষয়ে রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি ।