কলকাতা 10 নভেম্বর: কাটছে না আরজিকর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের অচলাবস্থা। বাধ্য হয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি শুনবেন বলে জানা গিয়েছে। শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে আগামিকাল।
আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে ৷ এমনই দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল 23 অক্টোবর। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, গত অগস্ট মাস থেকে নিজেদের দাবিদাওয়া-সহ হাসপাতালের অধ্যক্ষকে সরানোর দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাগাতার আন্দোলন করছেন। এই আন্দোলনের ফলে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তেমনই আউটডোরে রোগীরা এসে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। ভর্তিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জুনিয়র ডাক্তারদেরকে আশ্বাস দেওয়া হলেও তারা নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদত্যাগ না হলে তাদের সমস্যার সমাধান কিছুতেই হবে না বলে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন : অভিযোগের পাহাড়, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ আপাতত বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের অবকাশকালীন বেঞ্চ ৷ 29 অক্টোবর ছাত্র-ছাত্রীদের 6 জনের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য স্বাস্থ্য-সচিবের সঙ্গে দেখা করে তাদের সমস্যা জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কিন্তু স্বাস্থ্য-সচিবের সঙ্গে দেখা করার পরেও সমস্যার সমাধান কিছু হয়নি। আরজিকর হাসপাতালে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীরা এখনও অনড়। ফলে হাসপাতালে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরছে না। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ চিকিৎসা প্রার্থীরা। যদিও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, তাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা অব্যাহত রেখেই আন্দোলন করছেন।