কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর: মনে ভালো নেই অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের (Arpita Mukherjee) ৷ জেলবন্দি জীবনের একঘেঁয়েমি নাকি গ্রাস করতে শুরু করেছে তাঁকে ! সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত অন্তত এমনটাই দাবি করা হচ্ছে ৷ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SCC Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত অর্পিতাকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি (ED) ৷ এরপর বেশ কিছুদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হেফাজতেই ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) 'ঘনিষ্ঠ' এই তরুণী ৷ কিন্তু, পরে পার্থর মতো তাঁকেও বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় ৷ সেই থেকে অর্পিতার ঠিকানা আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার (Alipore Women's Correctional Home) ৷
সূত্রের খবর, প্রথম দিকে অর্পিতার সঙ্গে দেখা করতে সংশোধনাগারে আসতেন তাঁর বন্ধুরা ৷ নির্দিষ্ট সময় তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেন অর্পিতা ৷ কিছুক্ষণ গল্প-গাছা হত ৷ তাতে মন ভালো হয়ে যেত তাঁর ৷ কিন্তু, ইদানীং মুখ ফিরিয়েছেন সেই পছন্দের মানুষরা ৷ তাঁরা কেউই আর অর্পিতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন না ৷ ফলে সারাক্ষণ একা একাই সময় কাটে অর্পিতার ৷ আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে অর্পিতা যেখানে রয়েছেন, ঠিক তার সামনের দিকে রয়েছে চারটি স্নানাগার ৷ মাঝখানে একটি দেওয়াল ৷ সেই দেওয়ালের অপর দিকে থাকেন অর্পিতা ৷ নিজের সেলে সাধারণত শুয়ে, বসেই দিন কাটান একদা বৈভবে অভ্যস্থ এই তরুণী ৷
আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ, আরও 14 দিনের জেল হেফাজতে অপা
অর্পিতা খেতে ভালোবাসেন ৷ ইডি হেফাজতে থাকাকালীন মাঝেমধ্যেই এটা, ওটা খাওয়ার জন্য বায়না ধরতেন তিনি ৷ কখনও গ্রিন টি আবার কখনও মশলাদার ফাস্ট ফুড খেতে চাইতেন সেই সময় ৷ প্রথম দিকে জেলের খাবার মুখে রুচত না মোটে ৷ কিন্তু, সময় অনেক কিছুই বদলে দেয় ৷ অর্পিতার জিভের স্বাদও হয়তো তাই বদলে গিয়েছে ! এখন আর রোজের খাবার নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না তিনি ৷ কর্তৃপক্ষের তরফে যা খেতে দেওয়া হয়, চুপচাপ খেয়ে নেন ৷
তবে, এসবের মধ্যেই একটি ঘটনা অর্পিতাকে কুড়ে কুড়ে খায় ৷ সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিনের মধ্যে একবারও অর্পিতার মা তাঁর সঙ্গে জেলে দেখা করতে আসেননি ৷ এটাই অর্পিতার বড় আক্ষেপ ৷ একাধিকবার আইনজীবী মারফত অর্পিতা তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন ৷ কিন্তু, বৃদ্ধা তাতেও রাজি হননি ৷ ফলে এখন একাকীত্বই একমাত্র সঙ্গী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ৷