কলকাতা, 16 জানুয়ারি : বিরোধী নেতারা ছাত্রদের কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনীতি করছেন । বিশ্বভারতী বিদ্যালয় প্রসঙ্গে আজ এমনই বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর । বিশ্বভারতীতে দিনভর ছাত্র বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে কলকাতাতেও । নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং NRC-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ । জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা নিয়েও সরব হয়েছে তারা ।
দিন কয়েক আগে BJP সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে ঘেরাও করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখানো হয় বিক্ষোভ । তারপর থেকেই উত্তেজনা চলছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে । সে প্রসঙ্গে আজ কলকাতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছে । যেটা হওয়া উচিত ছিল না । এমনিতে না পেরে বিরোধীদলগুলি ছাত্রদের কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনীতি করছে । আমি ছাত্র-যুবদের বলব কারও কথায় বিভ্রান্ত হবেন না । আগে বিলটা ঠিক করে পড়ুন । জানুন আইনটা সঠিকভাবে । এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না, বরং এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন ।"
গতকাল বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের কয়েকজনের উপর হামলা হয় । দু'জন ছাত্র জখম হয় । তাদের বিশ্বভারতী পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । অভিযোগ সেখানেও তাদের উপর হামলা চালানো হয় । পরে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা হাসপাতালের গেটে তালা লাগিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ পুরো ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যদের দিকে । হামলার পর আজ সকালেই টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী । টুইটে তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন পুলিশকে । তারপর পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে অচিন্ত্য বাগদি এবং সাবির আলি নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে ।