কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর : এবার থেকে সমস্ত সরকারি বাসকেই থামতে হবে ‘পথসাথী’ এবং ‘কর্মতীর্থ’র সামনে ৷ বৃহস্পতিবার পরিবহণ ভবনের তরফ থেকে থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ অর্থাৎ, রাস্তার দু’ধারে যেখানে যতগুলি ‘পথসাথী’ এবং ‘কর্মতীর্থ’ রয়েছে, তার সবক’টিতেই স্টপেজ দেওয়া হবে ৷ আমজনতাকে সরকারি সুবিধার সঙ্গে আরও বেশি করে পরিচিত করানোর পাশাপাশি ব্যবসা বাড়িয়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে আয় বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷
আরও পড়ুন : Lakshmi Bhandar Scheme : ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ঘুম কেড়েছে সিপিএমের, বিরোধিতার প্রশ্নে বাড়ছে দ্বিধা
প্রসঙ্গত, দূরপাল্লার বাসে সওয়ার যাত্রীদের সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবেই মূলত ‘পথসাথী’ এবং ‘কর্মতীর্থ’ গড়ে তোলা হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু মানুষের রুজি-রুটি ৷ এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজ্য সড়ক, জাতীয় সড়ক এবং লম্বা রুটের ব্যস্ত রাস্তাগুলির দু’পাশে মোট 70টি পথসাথী তৈরি করা হয়েছে ৷ প্রতি 50 কিলোমিটারের ব্যবধানে রয়েছে পথসাথীর পরিষেবা ৷ যাত্রীদের সুবিধার জন্য এখানে রয়েছে শৌচালয়, খাবারের দোকান, যাত্রী বিশ্রামাগার-সহ আরও অনেক কিছু ৷
আমজনতার সফরকে সহজ করতেই এই উদ্যোগ রাজ্য সরকারের ৷ কিন্তু সবাই যে এই পরিষেবার সঙ্গে পরিচিত, এমনটা নয় ৷ সূত্রের খবর, সরকার চাইছে পথসাথী সম্পর্কে আরও বেশি করে ওয়াকিবহাল হোন রাজ্যের এবং ভিনরাজ্য থেকে আসা বাসযাত্রীরা ৷ পশ্চিমবঙ্গের সরকারি পরিষেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা এতে আরও ইতিবাচক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ সেই কারণেই সমস্ত সরকারি বাসের ক্ষেত্রেই পথসাথীতে থামা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, এর ফলে পথসাথীতে যাঁরা খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন, উপকৃত হবেন সেইসব বিক্রেতারাও ৷ আয় বাড়বে তাঁদের ৷
আরও পড়ুন : Swasthya Sathi Card : স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূল পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ শাসকদলের
অন্যদিকে, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলিতে রয়েছে মোট 529টি কর্মতীর্থ ৷ রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নতি ঘটানোই এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য ৷ প্রত্যেকটি কর্মতীর্থে অনেকগুলি দোকান রয়েছে ৷ সেখানে নানা ধরনের সামগ্রী বিক্রি করা হয় ৷ যা মূলত স্থানীয় শিল্পী বা কারিগররা তৈরি করেন ৷ কিন্তু, বিকিকিনি যে সবসময় খুব ভাল হয়, তেমনটা নয় ৷ সরকার চাইছে, এই খরা কাটুক ৷ তাদের আশা, কর্মতীর্থগুলিতে স্টপেজ বাধ্যতামূলক হলে এখানকার দোকানগুলিতেও মানুষের আনাগোনা বাড়বে ৷ তাতে ব্যবসা বাড়বে ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পী, কারিগর ও ব্যবসায়ীদের ৷