কলকাতা, 15 অক্টোবর: বউবাজারের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) দায়ী করলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury) ৷ বউবাজারে মেট্রোরেলের টানেল খননে নতুন করে কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরায় সমস্ত দোষ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের ঘাড়েই চাপালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি (Adhir Chowdhury blames Mamata Banerjee over Bowbazar incident)। এদিন বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে অধীর বলেন, "সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরবান মিনিস্ট্রির কথা না-শুনে গায়ের জোরে রেললাইন ঘুরিয়ে না-দিলে আজ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হত না।
সাংবাদিক বৈঠকে অধীর এদিন টিপ্পনী কেটে বলেন, "উনি একাধারে কবি, লেখক, সাহিত্যিক, ইঞ্জিনিয়ার । আজ ওনার জন্যই এই অবস্থা ।" সবমিলিয়ে মেট্রোরেলের টানেল খননে বউবাজারে বহু বাড়িতে ফাটল, আতঙ্কে সাধারণ মানুষের ঘর ছাড়ার ঘটনায় এদিন সমস্ত দায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘাড়েই চাপালেন অধীর চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অধীরবাবু এদিন বলেন, "2012 সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রি-অ্যালাইমেন্ট করিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেদিন আরবান মিনিস্ট্রি বাধা দিয়েছিল। কিন্তু উনি কথা না-শুনে গায়ের জোরে মেট্রোরেলের লাইন ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন । আজ টানেল বোরিং মেশিন খুঁড়তে গিয়েই জল ঢুকতে শুরু করেছে । বিপর্যয় নেমে এসেছে । সেদিন রি-অ্যালাইমেন্ট না করলে আজ এই পরিস্থিতি হত না।"
আরও পড়ুন: বাস্তব পরিস্থিতি দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত, বউবাজারের সংকট নিয়ে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
অধীর চৌধুরী আরও জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ৷ কারণ আমিও রেলের দায়িত্বে ছিলাম। উনি নিজেকে কবি-সাহিত্যিকের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক, ইঞ্জিনিয়ার ভাবেন। আজ তার খেসারত গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি সুদীপের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "লোকসভায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেননি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই করেন ।"