কলকাতা, 8 অগস্ট: সংসদে 'বিদ্যুৎ আইন (সংশোধনী) বিল 2022' (Electricity Amendment Bill 2022) পেশ হতেই প্রতিবাদে সরব হলেন বিরোধীরা ৷ সোমবার সংসদে এই বিল পেশ করা হয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে সংসদের অন্দরেই সরব হন বিরোধীরা ৷ পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও বিলের বিরোধিতায় একাধিক কর্মসূচি পালন করা হয় ৷ কলকাতাতেও এদিন একই ইস্যুতে পথে নামে অ্যাবেকা (All Bengal Electricity Consumers Association) ৷ তাদের তরফে বিবৃতি জারি করা হয় ৷ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিলের বিরোধিতায় আন্দোলনে নামবে 'সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা' (Samyukt Kisan Morcha) ৷
কিন্তু, এই বিরোধিতার কারণ কী ? বিরোধীদের অভিযোগ, রেল, ব্যাংকের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বণ্টনের ক্ষেত্রটিকেও সার্বিকভাবে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এতে সাধারণ গ্রাহকরা, বিশেষ করে দরিদ্রদের বোঝা বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ ৷ ইতিমধ্যে, একাধিক রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মর্জিমাফিক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে বহুবার ৷ কলকাতাও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ সিইএসসি-এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ক্ষোভ এখানে নতুন কিছু নয় ৷ তাছাড়া, বিদ্যুৎবণ্টব্যবস্থা বেসরকারি হাতে চলে গেলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীদেরও সমস্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের ৷ তাঁরা বর্তমান বিভিন্ন সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন ৷
আরও পড়ুন: Agnipath Recruitment Scheme: অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় মিছিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার
বিরোধীদের আরও অভিযোগ হল, 'বিদ্যুৎ আইন (সংশোধনী) বিল 2022' কার্যকর করার আগে সংশ্লিষ্ট কোনও পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করেনি সরকার ৷ এই বিল পাশের নামে আদতে আমজনতার উপর আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ এর প্রতিবাদে সোমবার কলকাতায় 'কালা দিবস' পালন করে ABECA ৷ রাজ্যের সমস্ত জেলায় প্রায় 32টি জনবহুল এলাকায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের একজোট করে বিক্ষোভ দেখানো হয় ৷ এই কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ আইন (সংশোধনী) বিল 2022-এর প্রতিলিপি পোড়ানো হয় ৷
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমর সিনহা বলেন, "পুঁজিপতিদের স্বার্থেই বিদ্যুৎ পরিষেবার সার্বিক বেসরকারিকরণ ঘটানোর চেষ্টা চলছে ৷ এই কারণেই এদিন সংসদে সংশোধনী পেশ করা হয়েছে ৷ এর প্রতিবাদে আমরা কালা দিবস (Black Day) পালন করছি ৷"