সালকিয়া, 2 অক্টোবর : চতুর্থীতে দর্শনার্থীর ঢল নামল হাওড়ার মণ্ডপে ৷ সালকিয়ার পুজো দেখতে ভিড় জমালেন সাধারণ মানুষ ৷ সালকিয়া ব্যায়াম সমিতির এ বছরের থিমের নাম সেকালে বধ একালে বদল।
উদ্যোক্তা বললেন, ''পুরাণ মতে যুগটা মার্তণ্ড। দেবতাদের কাছে বর পেয়ে অজেয় হয়ে ওঠে মহিষাসুর। এরপরই সমস্ত দেবতাদের শক্তিতে জন্ম নেন দেবী দুর্গা। প্রবল শক্তিধর দশভুজা দীর্ঘ 9 দিন যুদ্ধ করেন মহিষাসুরের সঙ্গে। দশমীতে বধ করেন অশুভ শক্তি মহিষাসুরকে। হত্যা করেন অপরাধকে। কিন্তু বর্তমানে অপরাধকে হত্যা করা হয় না। অপরাধীকে দেওয়া হয় সংশোধনের সুযোগ। সুযোগ দেওয়া হয় নিজেকে বদল করার বা বদলানোর। সেই সংশোধনাগারে হত্যা করা হয় কেবলমাত্র অপরাধকেই। আরে সেকাল-একাল এর পরিবর্তনই উঠে এসেছে সালকিয়া ব্যায়াম সমিতির এবছরের থিমে। ''
মণ্ডপ সজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেকাল এবং একালের অশুভ শক্তির শাস্তি বিধান। মণ্ডপের মূল গর্ভগৃহে দেবী দুর্গা বধ করছেন মহিষাসুরকে। বধ করছেন অশুভ শক্তিকে। ঠিক তার আগে রয়েছে একাল। যেখানে লাইন দিয়ে সাজানো রয়েছে সংশোধনাগারের ছোটো ছোটো কুঠুরি। ভেতরে মহিষের মাথা ও কয়েদির পোশাক রাখা হয়েছে প্রতীক হিসাবে। এই গোটা বিষয়টিকেই আচ্ছাদিত করে রেখেছে একটি বিরাট বটবৃক্ষ।
পুজো কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ''শুভ শক্তি এই বটবৃক্ষ ৷ শুধু তাই নয় এ পাশাপাশি রাখা হয়েছে ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনাকে। হয়তো আগামী দিনে আর সংশোধনাগারের প্রয়োজনটাও পড়বে না। মাইক্রোবায়োলজির মাধ্যমে অনায়াসেই জন্মের সময় শুভশক্তির ৷ নিরপরাধ মনোভাবের সমস্ত রসদ কৃত্রিম উপায়ে ভরে দেওয়া যাবে মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, মস্তিষ্কে। সেই ভাবনা থেকেই চলতি বছরের অভিনব থিম ৷''