হাওড়া , 6 এপিল : উত্তর হাওড়া থেকে কোরোনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক গৃহবধূ । পাশাপাশি আরও একজনের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাসের উপস্থিতি । পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যে রাখতেই এখন থেকেই তৎপর হাওড়া পৌরনিগম । উত্তর হাওড়ার বিশেষত সালকিয়াকে সংক্রমণপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে 150 জনের একটি দল নির্দিষ্ট করা হয়েছে । এই দলের কাজ প্রত্যেক দিন সালকিয়াবাসীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া । সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে তাঁর স্ক্রিনিং করা । তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে রিপোর্ট ।
এই রিপোর্টে কোনও ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলে সক্রিয় করা হবে মেডিকেল টিমকে । সেই টিম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ৷ এমনটাই জানিয়েছেন হাওড়া পৌরনিগমের কমিশনার তথা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিজিন কৃষ্ণা । প্রাথমিক লক্ষ্য অনুযায়ী দু'দিনের মধ্যে প্রথম রাউন্ডের সার্ভে শেষ করতে হবে । এই রাউন্ডে যাঁদের জ্বর সর্দি কাশি এই সমস্ত উপসর্গ মিলবে তাদের রাখা হবে বিশেষ নজরদারিতে । পৌরনিগমের সূত্র অনুযায়ী , হাওড়া শহরজুড়ে ইতিমধ্যেই প্রায় 500 থেকে 600 জনকে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে ।
এই কড়া নজরদারি সম্বন্ধে হাওড়া পৌরনিগমের কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, "হাওড়া শহরের কোরোনার কারণে মৃত মল্লিক ফটকের ব্যক্তির পরিবারের একজনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের উপস্থিতি । তাকে নিয়েও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পৌরনিগম । এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে সানিটাজিং এর কাজ চলছে । এর জন্য প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাড়ানো হচ্ছে স্যানিটাইজিং টিম । ইতিমধ্যেই পৌরনিগমের হাতে পাঁচটি স্যানিটাইজার গাড়ি ও বেশ কয়েকটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন রয়েছে । যেগুলি দিয়ে আলাদা দুটি টিম তৈরি হবে । যাঁরা প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করে চলেছেন । সংক্রমিত এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেই সমস্ত এলাকা স্যানিটাইজিং এর কাজ করছেন এঁরা ।"