হাওড়া, 17 জুন : হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার 11 জন পুলিশকর্মীর কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ল। এদের মধ্যে ন'জন কনস্টেবল এবং দু'জন ASI। গতকাল আক্রান্তদের ভরতি করা হয়েছে ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, 12 এবং 13 জুন থানার পুলিশকর্মীদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়। গতকাল ওই রিপোর্ট হাতে পেলে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এই ঘটনায় অন্য পুলিশকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এর আগেও একাধিক থানা এলাকার পুলিশকর্মীদের মধ্যে কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশ এবং হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ দুই তরফেই আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। জেলা জুড়ে সংক্রমণের অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগের। শেষ মেডিকেল বুলেটিনে জানা গিয়েছে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকা হাওড়ায় মোট সংক্রমিত হয়েছে প্রায় 1800 জন। এই জেলায় কোরোনায় মৃত 65 জন । ফলে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে দিনের পর দিন। জগৎবল্লভপুর থানার নতুন করে সংক্রমণ হওয়ায় পুলিশ মহলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
কলকাতার মতো হাওড়াতেও পুলিশকর্মীরা কোরোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ৷ এর আগে হাওড়ার শিবপুর ও সাঁতরাগাছি থানায় পুলিশকর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৷ বটানিকাল গার্ডেন থানার এক পুলিশকর্মী এবং শিবপুর থানার দুই পুলিশ অফিসার কোরোনা আক্রান্ত হয় । এরপরে জগৎবল্লভপুর থানার 11 জন পুলিশকর্মীর কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল । 12 এবং 13 জুন জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশকর্মীদের সোয়াব নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয় ৷ আজ তাদের মধ্যে 11 জন পুলিশকর্মীর কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে ৷ এই ঘটনা সামনে আসতেই পুলিশ মহলে চাঞ্চল্য চড়িয়ে পড়েছে ৷ পুলিশকর্মীরা যেভাবে কোরোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন তাতে প্রশাসন মহলেও চিন্তার ছাপ স্পষ্ট ৷ তাদের বক্তব্য, কোরোনা পরিস্থিতিতে পুলিশকর্মীরা রাস্তায় নেমে কাজ করে চলেছেন ৷ এই ভাবে পুলিশকর্মীরা কোরোনা আক্রান্ত হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সমস্যা হতে পারে ৷
গ্রামীণ হাওড়ায় পরিযায়ী শ্রমিক ঢোকার পর থেকে হু হু করে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। প্রত্যেকদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একাধিক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে এ রাজ্যে আসা শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক হাওড়ার। দেশের সবচেয়ে সংক্রমিত রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে বহু শ্রমিক এসেছে ডোমজুড়-জগৎবল্লভপুরে। তাদের থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ।