দুর্গাপুর, 26 মার্চ : শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির দোকান খোলা থাকবে । এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে । কিন্তু মিষ্টি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নানা অছিলায় অনেকেই ভুজিয়া ভাণ্ডার, চা বিক্রির দোকান অনেকেই খুলে রাখছেন ৷ তাহলে কেন শুধু বেছে বেছে মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকবে ৷ ক্ষুব্ধ মিষ্টি ব্যবসায়ীরা ৷
লক ডাউন জারি করা হয়েছে আরও 21 দিন অর্থাৎ 14 ই এপ্রিল পর্যন্ত লক ডাউন থাকবে সারা দেশে । কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের একযোগে লক ডাউন ঘোষণা । রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সকাল 8 টা থেকে বেলা 1 টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রির সমস্ত খুচরো দোকানদারদের দোকান খোলা রাখতে বলা হয়েছে । কিন্তু এবার প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার । খাবারের দোকান হিসাবে যদি ভুজিয়া ভাণ্ডার, চা-পাতার দোকান খোলা থাকে তাহলে কেন শুধু মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকবে ? অনেকেই বলছেন ভুজিয়া ভাণ্ডারে পাওয়া যাচ্ছে মুড়ি এবং চায়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে গুঁড়োদুধ এই দুটোকে সামনে রেখেই ওই দোকানগুলো খোলা । এই প্রেক্ষিতে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের পালটা যুক্তি তাদের দোকানেও তো দুধ বিক্রি হয় । তাহলে কেন শুধুমাত্র তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে দোকান খুলতে ?
এক মিষ্টি ব্যবসায়ী রবিন ঘোষ বলেন, " ভুজিয়া ভাণ্ডারের সমস্ত সামগ্রি প্যাকেট বন্দী অবস্থায় অনেক দিন থাকতে পারে কিন্তু যারা মিষ্টি ব্যবসায়ী তাদের কাঁচামাল নষ্ট হচ্ছে ।" অন্য এক মিষ্টি ব্যবসায়ী বলেন, "এই লকডাউনের অর্থ কী ? একশ্রেনির মানুষ ব্যবসা করবেন আর খাবারের দোকান হিসাবে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা শুকিয়ে মরবে ? "
মিষ্টি ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, তাদের দোকানও খাবারের দোকান । অথচ তাদেরকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে । যদি সরকারের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হত যে এই সময়ে দোকানের ভেতরে বসে খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা রাখা যাবে না, সেটাও মানা যেত । কিন্তু অন্য খাবারের দোকানগুলো যেখানে খোলা সেখানে শুধুমাত্র মিষ্টির দোকানকে একেবারে বন্ধ করে দেওয়ায় তারা বিরাট ক্ষতির মুখে পড়ছে ৷