বুদবুদ,19 নভেম্বর: বর্ধমান বনবিভাগের গলসিতে প্রায় 24টি হাতির দল ঢুকে পড়ায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হল পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকায়। এই সমস্ত এলাকার সব মানুষকে সতর্ক থাকার ও রাতে সাবধানে চলাফেরা করার অনুরোধ করা হয়েছে বনবিভাগের পক্ষ থেকে। গলসি-2 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে পড়েছিল সমস্ত যানবাহন। রাতের অন্ধকার থাকার কারণে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয় বন দফতরের পক্ষ থেকে। জাতীয় সড়কে দুর্গাপুরগামী সমস্ত যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা টর্চ নিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চালায়। লোকালয়ে যাতে হাতি ঢুকে না পড়ে তার জন্য বন দফতরের পক্ষ থেকে হুলা পার্টিকে রাখা হয় এলাকায়।
গত সপ্তাহে বাঁকুড়া থেকে আসা হাতির দলটিকে পুনরায় বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরাতে তৎপর হন বনবিভাগের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে 66টি হাতির দল চলে আসে আসানসোল-বর্ধমান রেল লাইনের উপর। প্রায় দু'ঘন্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। তারপর বাঁকুড়া ও অনান্য জেলা থেকে আসা হুলা পার্টি দিয়ে হাতির দলটিকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর জঙ্গলের দিকে ফেরানো হয়।
আরও পড়ুন: আসানসোলে অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, গ্রেফতার কেরালার যুবক
বুদবুদের তিলডাঙা এলাকায় জাতীয় সড়ক অতিক্রম করিয়ে হাতির দলটিকে নিয়ে যাওয়া হয় দামোদরের দিকে। তারপর হাতির দলটিকে বিষ্ণুপুর জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷ এই ঘটনায় জাতীয় সড়কে যান চলাচল প্রায় একঘণ্টা বন্ধ ছিল। বনবিভাগের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই হাতির দলকে জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে ট্রেন চলাচল ও 2 নম্বর জাতীয় সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। দীর্ঘদিন পর খাবারের সন্ধানে এত সংখ্যক হাতি বিষ্ণুপুরের জঙ্গল থেকে বর্ধমান জেলার লোকালয়ে চলে আসায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ হাতির আতঙ্কে বুদবুদের তিলডাঙা এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দারাই বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন ৷