ETV Bharat / city

ECL-এর উচ্ছেদ অভিযান, চ্যাংদোলা করে মহিলাদের বের করে বাড়ি ভাঙা হল - ASANSOL

খনি এলাকা সম্প্রসারণের জন্য বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করল ECL । ECL-এর সালানপুর এরিয়ার তরফে আজ পাহাড়গোড়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় । 12টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয় ।

চ্যাংদোলা করে মহিলাদের বের করে বাড়ি ভাঙা হল
author img

By

Published : Aug 22, 2019, 1:41 PM IST

Updated : Aug 22, 2019, 3:31 PM IST

আসানসোল, 22 অগাস্ট : খনি এলাকা সম্প্রসারণের জন্য বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করল ECL । ECL-এর সালানপুর এরিয়ার তরফে আজ পাহাড়গোড়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় । অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সালানপুর থানার পুলিশ ছিল । 12টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয় । বাসিন্দাদের আসবাবপত্র বাইরে ফেলে দিয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেছে ECL ।

ECL-এর সালানপুর এলাকায় মোহনপুর খনি এলাকা সম্প্রসারণের কাজ চলছে । এজন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে । যেখানে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে 29 টি পরিবারের বাড়ি । উচ্ছেদ নোটিশ পেয়ে 17 টি পরিবার ইতিমধ্যে চলে গেলেও 12 টি পরিবার যায়নি । তাদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় রয়েছে । জমির সমস্ত কাগজপত্র তাদের কাছে রয়েছে । উচ্ছেদের জন্য তারা সরকারি চাকরি এবং মোটা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছিল ।

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন : সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক CPI(M) নেতারা : জিতেন্দ্র

ECL জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আদালত নির্দেশ দিয়েছে । সেই নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণের টাকা জমা করা হয়েছে আদালতে এবং জমি খালি করা হচ্ছে । ECL-এর মোহনপুর খনির এজেন্ট বি পি গুপ্তা জানিয়েছেন, জমি খালি করার জন্য ওই 12 টি পরিবারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল । তারপরেও তারা জমি খালি করেনি । তাই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হল । ECL-এর ডেপুটি সার্ভেয়ার সুখেন্দু বিকাশ পুঁইতুণ্ডি বলেন, "হাইকোর্টের আদেশে নিম্ম আদালতে টাকা জমা দেওয়ার পর এই অভিযান চালানো হচ্ছে ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন ডেপুটি সার্ভেয়ারের বক্তব্য

আজ পুলিশ, CISF ও ECL-এর কর্তারা পাহাড়গোড়া এলাকায় গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালায় । চ্যাঙদোলা করে অনিচ্ছুক মহিলা, পুরুষদের বাড়ি থেকে বের করা হয় । বাধা দিতে গেলে লাঠি চার্জ করা হয় বলে অভিযোগ ।

আসানসোল, 22 অগাস্ট : খনি এলাকা সম্প্রসারণের জন্য বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করল ECL । ECL-এর সালানপুর এরিয়ার তরফে আজ পাহাড়গোড়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় । অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সালানপুর থানার পুলিশ ছিল । 12টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয় । বাসিন্দাদের আসবাবপত্র বাইরে ফেলে দিয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেছে ECL ।

ECL-এর সালানপুর এলাকায় মোহনপুর খনি এলাকা সম্প্রসারণের কাজ চলছে । এজন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে । যেখানে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে 29 টি পরিবারের বাড়ি । উচ্ছেদ নোটিশ পেয়ে 17 টি পরিবার ইতিমধ্যে চলে গেলেও 12 টি পরিবার যায়নি । তাদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় রয়েছে । জমির সমস্ত কাগজপত্র তাদের কাছে রয়েছে । উচ্ছেদের জন্য তারা সরকারি চাকরি এবং মোটা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছিল ।

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন : সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক CPI(M) নেতারা : জিতেন্দ্র

ECL জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আদালত নির্দেশ দিয়েছে । সেই নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণের টাকা জমা করা হয়েছে আদালতে এবং জমি খালি করা হচ্ছে । ECL-এর মোহনপুর খনির এজেন্ট বি পি গুপ্তা জানিয়েছেন, জমি খালি করার জন্য ওই 12 টি পরিবারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল । তারপরেও তারা জমি খালি করেনি । তাই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হল । ECL-এর ডেপুটি সার্ভেয়ার সুখেন্দু বিকাশ পুঁইতুণ্ডি বলেন, "হাইকোর্টের আদেশে নিম্ম আদালতে টাকা জমা দেওয়ার পর এই অভিযান চালানো হচ্ছে ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন ডেপুটি সার্ভেয়ারের বক্তব্য

আজ পুলিশ, CISF ও ECL-এর কর্তারা পাহাড়গোড়া এলাকায় গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালায় । চ্যাঙদোলা করে অনিচ্ছুক মহিলা, পুরুষদের বাড়ি থেকে বের করা হয় । বাধা দিতে গেলে লাঠি চার্জ করা হয় বলে অভিযোগ ।

Intro:
খনির সম্প্রসারণের কারণে বলপুর্বক ভাবে স্থায়ী বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠল ECL এর বিরুদ্ধে। ECL সালানপুর এরিয়ার পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সালানপুর থানার পুলিশ গিয়ে পাহাড়গোড়া এলাকায় ১২ টি পরিবারকে বলপূর্বক উচ্ছেদ করে। বাসিন্দাদের আসবাব পত্র বাইরে ফেলে দিয়ে ড্রোজার দিয়ে পাকা বাড়ি ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ECL.
জানা গেছে ECL এর সালানপুর এরিয়ার মোহনপুর খনি প্রকল্পের সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহন করেছে ECL. যে স্থানে জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে সেখানে ২৯ টি পরিবার ছিল। ১৭ টি পরিবার জমি খালি করে দিলেও ১২ টি পরিবার বেঁকে বসে। তারা চাকুরি এবং ক্ষতিপুরণের দাবিতে জমি ছাড়েনি। বাসিন্দাদের দাবি, তারা বহুবছর ধরে ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। জমির সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। চাকুরি না দিলে আমরা জমি ছাড়ব না।
অন্যদিকে ইসিএলের বক্তব্য কোর্টের রায় অনুযায়ী নির্দিষ্ট ক্ষতিপুরণের টাকা জমা করা হয়েছে কোর্টে। কোর্ট অর্ডারেই জমি খালি করা হচ্ছে। ইসিএলের মোহনপুর খনির এজেন্ট BP গুপ্ত জানিয়েছেন জমি।খালি করার জন্য ওই ১২ টি পরিবারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও জমি ফাঁকা করেনি তারা।
আজ বিরাট পুলিশ বাহিনী, কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী ও ইসিএলের কর্তারা পাহাড়গোড়া এলাকায় গিয়ে ১২ টি পরিবারকে জোর করে উচ্ছেদ করে। চ্যাঙদোলা করে মহিলা, পুরুষদের দের বাড়ি থেকে বের করা হয়। বাধা দিতে গেলে বাসিন্দাদের লাঠিও চার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। জোর করে বাইরে ফেলে দেওয়া সব আসবাব। এরপরেই বুলড্রোজার দিয়ে পাকা বাড়িগুলি ভেঙে দেওয়া শুরু হয়েছে।
কোর্ট অর্ডার থাকলেও বাড়ি উচ্ছেদের এই অমানবিক প্রক্রিয়া নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠছে।Body:..Conclusion:
Last Updated : Aug 22, 2019, 3:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.