নয়াদিল্লি, 4 সেপ্টেম্বর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মতো জি-20 সদস্য দেশগুলির দক্ষতা খেলনা শিল্পে ভারতের প্রাদেশিক উৎপাদন ক্ষমতা এবং রফতানি বাড়াতে সহায়তা করতে পারে বলে মনে করছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞমহল ৷ টয় অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (টিএআই)-র চেয়ারম্যান মনু গুপ্ত জানান, জি20 সম্মেলনে ভারতের সভাপতিত্ব একটা বড় সুযোগ ৷ যেখানে খেলনা শিল্পে ভারতকে এক আকর্ষণীয় বিনিয়োগের বাজার হিসেবে তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে ৷
তাঁর মতে, "জি-20 সম্মেলনে খেলনা শিল্পে বিশ্বের বড় উৎপাদনকারী এবং গ্রাহক উভয়ই রয়েছে ৷ এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ভারত খেলা পিছু দাম নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া শিখতে পারবে ৷ কারণ, ভারতের হাতে শিক্ষণীয় টুল হিসেবে প্রচুর বাচ্চা রয়েছে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খেলার বাজার অনেক পোক্ত ৷ তাঁদের কৌশল এবং পন্থা শিখতে পারলে ভারতীয় সংস্থাগুলি তাঁদের উৎপাদন বাড়াতে পারবে ৷"
মনু গুপ্ত বলেন, "চিন বিশ্বের 'খেলনা কারখানা' হিসাবে পরিচিত এবং ভারত অবশ্যই খেলনা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চিনের কর্মীসংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে, তা কাজে লাগাতে পারে ৷ এতে ভারতের খেলনার বাজার এবং তার উৎপাদনের হার অনেক বাড়বে ৷ একই রকম ভাবনা টয় অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট তথা লিটল জিনিয়স টয় প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও নরেশ কুমার গৌতমের ৷ তিনি বলেন, "ভারতে খেলনার বাজারের একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তবে, তার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী এবং প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জি-20 সম্মেলনে জিনপিংয়ের অনুপস্থিতির খবরে হতাশ বাইডেন
উল্লেখ্য, খুব দ্রুত গ্রেটার নয়ডায় এক বিশাল বড় টস-ক্লাস্টার তৈরি করা হচ্ছে ৷ যা ভবিষ্যতে ভারতে খেলা তৈরির বাজারকে শক্তিশালী করবে বলে মনে করছে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি ৷ প্রায় 135টি সংস্থাকে সেখানে জমি কেনার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ এমনকী জি-20'র সদস্য দেশগুলি খেলনা শিল্পের অন্যতম সূত্র বলে দাবি করেছেন মনু গুপ্ত ৷