হায়দ্রাবাদ,27 অক্টোবর: বাড়ি থেকে শুরু করে গাড়ি কেনার জন্য লোন নেওয়া এখন আর নতুন কোনও বিষয় নয় । তবে এই লোন নেওয়ার ব্যাপারটি শুধু এটুকুর মধ্যে আটকে নেই আজকের দুনিয়ায় । এখন কোনও পছন্দের জিনিস কিনতেও অনেকে লোন নেন । এতে একবারে টাকা দিতে হয় না ঠিক কিন্তু এর বিপদও আছে অনেক (Easy loans and credit cards may cause great harm to you)।
বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন হোক বা তাকলাগানো ফিচার্সের ল্যাপটপ কেনার সময় অনেকেই লোন নিতে পছন্দ করেন । এখানে ক্রেডিট কার্ডের ভূমিকাও খবই গুরুত্বপূর্ণ । ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এই ধরনের জিনিস কিনলে বিশেষ ছাড়ও পাওয়া যায় । আর এভাবেই অজান্তেই আপনি পা দিয়ে ফেলেন ফাঁদে । সময়ে সাবধান না হলে বড় বিপদ যে অপেক্ষা করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । এখানে আরও একটা কথা বলা দরকার অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন লোন নেওয়ার বিষয়টির অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে । মানে প্রয়োজন তেমন নেই তবু লোন নিচ্ছেন এমন মানুষের সংখ্যাও খুব একটা কম নয় ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল বিনিয়োগে সোনার ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় গোল্ড ইটিএফ ? জানুন কীভাবে
আর সামগ্রিকভাবে লোন নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় অনেক ক্ষেত্রেই বেড়েছে সুদের হার । সুদের হার বাড়ার এটাই যে একমাত্র কারণ তা অবশ্যই নয় । একসময় গৃহঋণ ছিল 7 শতাংশ সেটা এখন বেড়ে 8.40 থেকে 8.65 শতাংশের আশপাশে চলে গিয়েছে । মাথা গোঁজার একটা ঠিকানার জন্য খানিক অতিরিক্ত খরচ করতে বেশিরভাগ মানুষই পিছপা হন না । তাছাড়া হোমলোন ট্যাক্স বাঁচানোর ক্ষেত্রেও কাজে আসে । কিন্তু সুদের হার অনেক বেশি হওয়ার পরও অনেকে পার্সোনাল লোন নিয়ে থাকেন। তাৎক্ষণিক প্রয়োজন যে মিটে যাবে তাতে সন্দেহ নেই ঠিকই কিন্তু এভাবে লোনের বোঝা মাথায় চাপানো আর যাই হোক বুদ্ধিমানের কাজ নয় (Try to reduce the burden of loan as soon as possible)।
এবার ধরা যাক কোনও বিশেষ প্রয়োজনে আপনাকে লোন নিতেই হয়েছে । সেসময়ও সাবধান থাকা যায় । মনে রাখা দরকার একটি লোন শেষ না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় লোন নেওয়ার কোনও যুক্তি নেই । তাছাড়া ধরুন লোন আপনি পাঁচ বছরের নিয়েছেন । তার মানে কিন্তু এই নয় যে আপনাকে পাঁচ বছর ধরেই লোনের বোঝা বইতে হবে । হাতে কোনও দিক থেকে অতিরিক্ত টাকা এলে লোনের পুরোটা না হোক একটা বড় অংশ মিটিয়ে দিন (Make some part payments to reduce the burden) । তাতে বাকি মেয়াদে আপনাকে মাসে মাসে কম টাকা দিতে হবে । অনেক ক্ষেত্রে লোনের মেয়াদও কমে যায় । এছাড়া ইএমআই ফেলে রাখার রাস্তায় হাঁটলে বিপদ বেড়ে যাবে অনেকটাই । কারণ একবার ইএমআই দিতে না পারলে পেনাল্টি দিতে হবে । তাতে খরচ বাড়বে ।