কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর : শাসকদলের “অত্যাচারে" গোটা রাজ্যে গত তিন বছরে খুন হয়েছেন 100-র বেশি কর্মী। এমনই অভিযোগ রাজ্য BJP-র নেতাদের। যে সমস্ত কর্মী খুন হয়েছেন তাঁদের “শহিদ" আখ্যা দিয়ে এবছরও করা হয়েছে তর্পণের ব্যবস্থা। মহালয়ার দিন এমন রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাঁধা হচ্ছিল মঞ্চ। কিন্তু সেই মঞ্চের অনুমতি ছিল না। আর তাই রাতেই সেই মঞ্চ খুলে দিল পুলিশ। ঘটনায় রাতের বাগবাজার ঘাটে তৈরি হয় সাময়িক উত্তেজনা। BJP নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, মঞ্চ খুললেও কর্মসূচি তাঁরা পালন করবেন।
গত বছর থেকে BJP-র তরফে শুরু করা হয়েছে এই কর্মসূচি। গত বছর মহালয়ার দিন সকালে তৎকালীন কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে 80টি পরিবার নিয়ে শহিদ তর্পণ কর্মসূচি পালন করা হয় । সেই কর্মসূচির মাধ্যমে জে পি নাড্ডা রাজ্য প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে এরাজ্যে।"
গত বছর এই কর্মসূচি নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিস্তর চাপানউতোর। সেই একই কর্মসূচি এবারও নিয়েছে বঙ্গ BJP। কর্মসূচি রূপায়ণে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ সিকদার, সপ্তর্ষি চৌধুরির মতো রাজ্য নেতাদের। গতকাল তাঁরা বাগবাজার ঘাট পরিদর্শনে যান। পরে সন্ধে থেকে শুরু হয়ে যায় মঞ্চ বাঁধার কাজ। কিন্তু পুলিশের অভিযোগ, এই মঞ্চের জন্য কোনও অনুমতি ছিল না। গভীর রাতে সেই মঞ্চ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্য নেতারা। পুলিশের সঙ্গে চলে মৃদু তর্কাতর্কি। পরে প্রতাপ জানান, "ই-মেইল এর মাধ্যমে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে পুলিশ জানাচ্ছে, অনুমতি দেওয়া হয়নি। মঞ্চ খুলে দিলেও কর্মসূচি হবেই। "
আগামীকাল বাগবাজার ঘাটে BJP-র শহিদ তর্পণ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায়, রাহুল সিনহাসহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা। BJP সূত্রে খবর, এবার শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গের 22টি পরিবারকে ডাকা হয়েছে শহিদ তর্পণের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য।
অনুমতি নেই, বাগবাজার ঘাটে BJP-র “শহিদ" তর্পণের মঞ্চ খুলল পুলিশ
গত বছর থেকে BJP-র তরফে শুরু করা হয়েছে এই কর্মসূচি। গত বছর মহালয়ার দিন সকালে জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে 80টি পরিবার নিয়ে শহিদ তর্পণ কর্মসূচি পালন করা হয় ।
কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর : শাসকদলের “অত্যাচারে" গোটা রাজ্যে গত তিন বছরে খুন হয়েছেন 100-র বেশি কর্মী। এমনই অভিযোগ রাজ্য BJP-র নেতাদের। যে সমস্ত কর্মী খুন হয়েছেন তাঁদের “শহিদ" আখ্যা দিয়ে এবছরও করা হয়েছে তর্পণের ব্যবস্থা। মহালয়ার দিন এমন রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাঁধা হচ্ছিল মঞ্চ। কিন্তু সেই মঞ্চের অনুমতি ছিল না। আর তাই রাতেই সেই মঞ্চ খুলে দিল পুলিশ। ঘটনায় রাতের বাগবাজার ঘাটে তৈরি হয় সাময়িক উত্তেজনা। BJP নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, মঞ্চ খুললেও কর্মসূচি তাঁরা পালন করবেন।
গত বছর থেকে BJP-র তরফে শুরু করা হয়েছে এই কর্মসূচি। গত বছর মহালয়ার দিন সকালে তৎকালীন কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে 80টি পরিবার নিয়ে শহিদ তর্পণ কর্মসূচি পালন করা হয় । সেই কর্মসূচির মাধ্যমে জে পি নাড্ডা রাজ্য প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে এরাজ্যে।"
গত বছর এই কর্মসূচি নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিস্তর চাপানউতোর। সেই একই কর্মসূচি এবারও নিয়েছে বঙ্গ BJP। কর্মসূচি রূপায়ণে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ সিকদার, সপ্তর্ষি চৌধুরির মতো রাজ্য নেতাদের। গতকাল তাঁরা বাগবাজার ঘাট পরিদর্শনে যান। পরে সন্ধে থেকে শুরু হয়ে যায় মঞ্চ বাঁধার কাজ। কিন্তু পুলিশের অভিযোগ, এই মঞ্চের জন্য কোনও অনুমতি ছিল না। গভীর রাতে সেই মঞ্চ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্য নেতারা। পুলিশের সঙ্গে চলে মৃদু তর্কাতর্কি। পরে প্রতাপ জানান, "ই-মেইল এর মাধ্যমে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে পুলিশ জানাচ্ছে, অনুমতি দেওয়া হয়নি। মঞ্চ খুলে দিলেও কর্মসূচি হবেই। "
আগামীকাল বাগবাজার ঘাটে BJP-র শহিদ তর্পণ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায়, রাহুল সিনহাসহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা। BJP সূত্রে খবর, এবার শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গের 22টি পরিবারকে ডাকা হয়েছে শহিদ তর্পণের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য।