সুতি, ৫ জুলাই : স্ত্রীকে নিজেরই দেওয়া মোবাইল ফেরত চাইতে এলোপাথাড়ি কোপ! শ্বশুরবাড়ি গিয়ে আক্রান্ত জামাই। গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। সুতি থানার মহেশাইল গ্রামের ঘটনার কাছে হার মানবে যে কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য।
দমদমের বাসিন্দা দেবাশিস মণ্ডলের বিয়ে হয় সুতি থানার মহেশাইলে। বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকার আবদার করতে থাকে দেবাশিসের স্ত্রী। ঘরজামাই থাকতে রাজিও হয়ে যান দেবাসিসবাবু । সেখানে টিউশনের পাশাপাশি শ্বশুরের জমি জায়গা দেখাশোনা করতেন তিনি। শুরুতে সব স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। দেবাশিস বুঝতে পারেন প্রেমিকের টানেই বিয়ের পর বাপের বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্ত্রী। এরপরই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। অভিযোগ, মেয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতেন দেবাশিসের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অশান্তি চরমে উঠলে একবার সালিশি সভায় তা মেটানোর চেষ্টাও করা হয় । কিন্তু অভিযোগ, এর পরেও প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেনি দেবাশিসবাবুর স্ত্রী । তারপর থেকে স্ত্রীকে ছেড়ে সুতি থানার লখাইপুরে থাকতে শুরু করেন তিনি ।
রবিবার সকালে স্ত্রীকে দেওয়া মোবাইল ফোন ফেরত চাইতে শ্বশুরবাড়ি গেলে ফের শুরু হয় বচসা । অভিযোগ, সেই সময় শ্বশুর লক্ষ্মণ মণ্ডল ও শ্যালক গোবিন্দ তাঁকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। কোপানোর জন্য হাঁসুয়া এগিয়ে দিয়েছিল তাঁর স্ত্রী। এমনকী সে নিজেও তাঁকে মারধর করে। প্রতিবেশীরা জখম দেবাশিসবাবুকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর একটি আঙুল বাদ গিয়েছে। সুতি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ।