মালদা, 21 জুলাই : কোরোনা আবহে মালদায় বাড়ছে অসামাজিক কার্যকলাপ ৷ কিছুদিন ধরেই জেলাজুড়ে বাড়ছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ৷ গতকাল ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এলাকায় মোবাইল চুরি চক্রের হদিস পেয়েছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই চক্রের চার সদস্যকে ৷ উদ্ধার হয়েছে 17 টি কোম্পানির মোবাইল ফোন৷ ধৃতদের আজ মালদা আদালতে পেশ করা হয়৷ বিচারক তাদের 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে মোথাবাড়ি থানার অফিসার ওমর ফারুকের নেতৃত্বে গঙ্গার পাগলাঘাট এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশবাহিনী ৷ সেখানকার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করা হয় চার যুবককে৷ তাদের মধ্যে দু’জন মালদা থানা এলাকার বাসিন্দা৷ নাম ইমরান আলি ও শাহারুক আলি৷ এছাড়াও সেখানে ছিল সুশান্ত মণ্ডল ও এস্তাক আলি নামে স্থানীয় দুই যুবক৷ তাদের হেপাজত থেকে বিভিন্ন কোম্পানির 17 টি স্মার্ট ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ জেরায় তারা এই মোবাইল ফোনগুলি সম্পর্কে কোনও সঠিক তথ্য দিতে না পারায় তাদেরকে আবারও জেরা করা হচ্ছে ৷ তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 379,411,413 ও 414 ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ ধৃতদের আজ জেলা আদালতে তোলা হলে সবাইকে 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷
মোথাবাড়ি থানার ওসি বিটুন পাল জানিয়েছেন, “পুলিশি জেরায় ধৃতরা স্বীকার করে নিয়েছে, তারা মোবাইল চুরি চক্রে জড়িত৷ তবে উদ্ধার হওয়া ফোনগুলি তারা কোথায় থেকে এনেছিল, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এই চোরাই মোবাইল ফোনগুলি ঝাড়খণ্ড এলাকা থেকে গঙ্গা পার করে এপারে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ধৃতদের আজই জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে৷”