ETV Bharat / briefs

পুরাতন মালদায় মহানন্দার বাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে বাসিন্দারা

নদীর জল কমার সঙ্গে শুরু হল মহানন্দার পাড় ভাঙন ৷ পুরাতন মালদার বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ কাটছে নদী ৷ জল পুরো এলাকায় ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর । মহকুমাশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী আজ থেকে ভাঙনরোধে অস্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ।

author img

By

Published : Oct 7, 2020, 5:33 PM IST

Mahananda, Malda
Mahananda, Malda

মালদা, 7 অক্টোবর : বৃষ্টির জেরে কয়েকদিন ধরে বাড়ছিল মহানন্দার জলস্তর ৷ নদীর জল ঢুকে পড়েছিল জেলার দুই পৌর এলাকার সঙ্গে একাধিক গ্রামেও ৷ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলপাড়া ও ডোবাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা ৷ দু’তিনদিন ধরেই সেখানে অল্প অল্প করে বাঁধ কাটছিল নদী ৷ এদিকে গতকাল রাত থেকে দ্রুতগতিতে জলস্তর কমছে মহানন্দার ৷ এর জেরে ডোবাপাড়া গ্রামে মহানন্দার বাঁধ ভাঙার গতিও বেড়েছে ।

গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ পুরোপুরি ধসে যেতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে প্লাবিত হতে পারে গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ৷ পরিস্থিতি বুঝে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ৷ BJP পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের অভিযোগ, তাঁদের আবেদনে কর্ণপাত করেনি ব্লক প্রশাসন ৷ তাই তিনি গোটা বিষয়টি সদর মহকুমাশাসককে জানান ৷ মহকুমাশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী আজ থেকে তাঁরা ভাঙনরোধে অস্থায়ীভাবে কাজ শুরু করেছেন ৷ বিষয়টি জানিয়ে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে জেলা সেচ বিভাগেও ৷ ওই এলাকায় নদীবাঁধ স্থায়ীভাবে মেরামত না করা হলে যে কোনও সময় পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে ৷

সেচ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত জলস্তর বাড়ছিল মহানন্দার ৷ কিন্তু বৃষ্টি কমে যাওয়ায় গতকাল রাত থেকে দ্রুতগতিতে জল কমছে ৷ আজ বেলা 12টায় মহানন্দার জলস্তর ছিল 22.04 মিটার ৷ দুপুরে নদী চরম বিপদসীমা 21.75 মিটার থেকে 29 সেন্টিমিটার উঁচু দিয়ে বয়েছে ৷ জল কমছে গঙ্গা ও ফুলহরেরও ৷ ওই দুই নদী নিয়ে বর্তমানে কোনও সমস্যা নেই ৷ তবে নদীর জল বাড়া ও কমার সময় সাধারণত ভাঙন দেখা দেয় ৷ সেই সূত্র মেনে মহানন্দা বেশ কিছু জায়গায় পাড় কাটতে শুরু করেছে ৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে ৷

পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোবাপাড়ার বাসিন্দা সুদীপ কর্মকার বলেন, “কয়েকদিন ধরেই বাঁধ কাটছে মহানন্দা ৷ প্রায় 300 মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন চলছে ৷ এনিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষজন ৷ এভাবে চলতে থাকলে গোটা বাঁধটাই ধসে পড়বে ৷ নদীর জলে প্লাবিত হবে গোটা পঞ্চায়েত এলাকা ৷ দ্রুত কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি ভয়ংকর হতে পারে ৷ আমরা বিষয়টি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ৷”

সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উকিল মণ্ডল বলেন, “মহানন্দার জল বেড়ে যাওয়ায় ছাতিয়ান মোড় ডোবাপাড়া এলাকায় নদী বাঁধে ভাঙন শুরু হয় ৷ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার অবস্থায় চলে এসেছে ৷ আমরা বিষয়টি স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে জানাই ৷ কিন্তু ব্লক প্রশাসন ভাঙন রোধে কোনও উদ্যোগ নেয়নি ৷ তাই আমি বিষয়টি সদর মহকুমাশাসককে জানাই ৷ তাঁর নির্দেশে আমরা সেখানে ভাঙনরোধের কাজ শুরু করেছি ৷ বাঁশের খুঁটি পুঁতে বালির বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার কাজ চলছে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত ব্লক প্রশাসনের কোনও সহযোগিতা পাইনি ৷”

মালদা, 7 অক্টোবর : বৃষ্টির জেরে কয়েকদিন ধরে বাড়ছিল মহানন্দার জলস্তর ৷ নদীর জল ঢুকে পড়েছিল জেলার দুই পৌর এলাকার সঙ্গে একাধিক গ্রামেও ৷ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলপাড়া ও ডোবাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা ৷ দু’তিনদিন ধরেই সেখানে অল্প অল্প করে বাঁধ কাটছিল নদী ৷ এদিকে গতকাল রাত থেকে দ্রুতগতিতে জলস্তর কমছে মহানন্দার ৷ এর জেরে ডোবাপাড়া গ্রামে মহানন্দার বাঁধ ভাঙার গতিও বেড়েছে ।

গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ পুরোপুরি ধসে যেতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে প্লাবিত হতে পারে গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ৷ পরিস্থিতি বুঝে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ৷ BJP পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের অভিযোগ, তাঁদের আবেদনে কর্ণপাত করেনি ব্লক প্রশাসন ৷ তাই তিনি গোটা বিষয়টি সদর মহকুমাশাসককে জানান ৷ মহকুমাশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী আজ থেকে তাঁরা ভাঙনরোধে অস্থায়ীভাবে কাজ শুরু করেছেন ৷ বিষয়টি জানিয়ে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে জেলা সেচ বিভাগেও ৷ ওই এলাকায় নদীবাঁধ স্থায়ীভাবে মেরামত না করা হলে যে কোনও সময় পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে ৷

সেচ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত জলস্তর বাড়ছিল মহানন্দার ৷ কিন্তু বৃষ্টি কমে যাওয়ায় গতকাল রাত থেকে দ্রুতগতিতে জল কমছে ৷ আজ বেলা 12টায় মহানন্দার জলস্তর ছিল 22.04 মিটার ৷ দুপুরে নদী চরম বিপদসীমা 21.75 মিটার থেকে 29 সেন্টিমিটার উঁচু দিয়ে বয়েছে ৷ জল কমছে গঙ্গা ও ফুলহরেরও ৷ ওই দুই নদী নিয়ে বর্তমানে কোনও সমস্যা নেই ৷ তবে নদীর জল বাড়া ও কমার সময় সাধারণত ভাঙন দেখা দেয় ৷ সেই সূত্র মেনে মহানন্দা বেশ কিছু জায়গায় পাড় কাটতে শুরু করেছে ৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে ৷

পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোবাপাড়ার বাসিন্দা সুদীপ কর্মকার বলেন, “কয়েকদিন ধরেই বাঁধ কাটছে মহানন্দা ৷ প্রায় 300 মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন চলছে ৷ এনিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষজন ৷ এভাবে চলতে থাকলে গোটা বাঁধটাই ধসে পড়বে ৷ নদীর জলে প্লাবিত হবে গোটা পঞ্চায়েত এলাকা ৷ দ্রুত কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি ভয়ংকর হতে পারে ৷ আমরা বিষয়টি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ৷”

সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উকিল মণ্ডল বলেন, “মহানন্দার জল বেড়ে যাওয়ায় ছাতিয়ান মোড় ডোবাপাড়া এলাকায় নদী বাঁধে ভাঙন শুরু হয় ৷ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার অবস্থায় চলে এসেছে ৷ আমরা বিষয়টি স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে জানাই ৷ কিন্তু ব্লক প্রশাসন ভাঙন রোধে কোনও উদ্যোগ নেয়নি ৷ তাই আমি বিষয়টি সদর মহকুমাশাসককে জানাই ৷ তাঁর নির্দেশে আমরা সেখানে ভাঙনরোধের কাজ শুরু করেছি ৷ বাঁশের খুঁটি পুঁতে বালির বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার কাজ চলছে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত ব্লক প্রশাসনের কোনও সহযোগিতা পাইনি ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.