কলকাতা, ২১ এপ্রিল: ISL-এ খেলার ব্যাপারে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস কী অবস্থান নিতে চলেছে, তা জানতে চেয়ারম্যান অজিত আইজ়্যাককে চিঠি দিলেন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার । ১১ এপ্রিল ফেডারেশন সচিব কুশল দাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ও কার্যকরী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে ফেডারেশন কর্তারা ISL-এ অংশগ্রহণ নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থানের কথা জানতে চান। সেই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতেই সচিব কল্যাণ মজুমদার কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান অজিত আইজ়্যাককে চিঠি দিয়েছেন ।
ইতিমধ্যে ক্লাব ISL-এ খেলতে চায় বলে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েসকে জানিয়েছে। এই মর্মে একটি বৈঠকও করতে চেয়ে চেয়ারম্যানের সময় চেয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু তার উত্তর এখনও আসেনি। সুপার কাপে অংশগ্রহণ না করা নিয়ে কোয়েসের অবস্থানের বিরোধিতা করেছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব । কিন্তু ২৮ মার্চের বৈঠকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে ক্লাব কর্তাদের শান্ত করেছিলেন অজিত। সেই বৈঠকে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কেন আই লিগের জোটে রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কেন জোট ভেঙে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় দিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যাও। কিন্তু মাঝের কয়েকদিনে ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের বৈঠক হয়। এরপরেই ISL-এ অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক নতুন দিকে ঘুরিয়ে দিল।
ইতিমধ্যেই আইলিগ ও ISL যুক্ত করে একটি লিগ আয়োজনের কথা শোনা যাচ্ছে । কিন্তু তার বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কম । ফেডারেশন নতুন মরসুমে আইলিগ ও ISL-কে সমান্তরালভাবে চালাতে চায় বলে খবর। তবে ১১ এপ্রিলের বৈঠকে বলা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান পরিষ্কার হলে নতুন দল নেওয়ার বিড ছাড়া হতে পারে। তাই ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদারের চিঠি ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা ও ক্লাবের সম্পর্কে নতুন সমীকরণের সংকেত দিচ্ছে। প্রসঙ্গত লাল-হলুদ সচিব ইতিমধ্যে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে কোয়েস এবং কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন । যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি ।