ETV Bharat / briefs

কোয়েসের অবস্থান জানতে আইজ়্যাককে চিঠি ইস্টবেঙ্গল সচিবের

ISL-এ খেলার ব্যাপারে কী অবস্থান নিতে চলেছে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস? এবার তা জানতে ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান অজিত আইজ়্যাককে চিঠি দিলেন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার ।

ছবি সৌজন্যে ফেসবুক
author img

By

Published : Apr 21, 2019, 2:52 AM IST

কলকাতা, ২১ এপ্রিল: ISL-এ খেলার ব্যাপারে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস কী অবস্থান নিতে চলেছে, তা জানতে চেয়ারম্যান অজিত আইজ়্যাককে চিঠি দিলেন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার । ১১ এপ্রিল ফেডারেশন সচিব কুশল দাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ও কার্যকরী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে ফেডারেশন কর্তারা ISL-এ অংশগ্রহণ নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থানের কথা জানতে চান। সেই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতেই সচিব কল্যাণ মজুমদার কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান অজিত আইজ়্যাককে চিঠি দিয়েছেন ।

ইতিমধ্যে ক্লাব ISL-এ খেলতে চায় বলে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েসকে জানিয়েছে। এই মর্মে একটি বৈঠকও করতে চেয়ে চেয়ারম্যানের সময় চেয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু তার উত্তর এখনও আসেনি। সুপার কাপে অংশগ্রহণ না করা নিয়ে কোয়েসের অবস্থানের বিরোধিতা করেছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব । কিন্তু ২৮ মার্চের বৈঠকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে ক্লাব কর্তাদের শান্ত করেছিলেন অজিত। সেই বৈঠকে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কেন আই লিগের জোটে রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কেন জোট ভেঙে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় দিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যাও। কিন্তু মাঝের কয়েকদিনে ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের বৈঠক হয়। এরপরেই ISL-এ অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক নতুন দিকে ঘুরিয়ে দিল।

ইতিমধ্যেই আইলিগ ও ISL যুক্ত করে একটি লিগ আয়োজনের কথা শোনা যাচ্ছে । কিন্তু তার বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কম । ফেডারেশন নতুন মরসুমে আইলিগ ও ISL-কে সমান্তরালভাবে চালাতে চায় বলে খবর। তবে ১১ এপ্রিলের বৈঠকে বলা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান পরিষ্কার হলে নতুন দল নেওয়ার বিড ছাড়া হতে পারে। তাই ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদারের চিঠি ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা ও ক্লাবের সম্পর্কে নতুন সমীকরণের সংকেত দিচ্ছে। প্রসঙ্গত লাল-হলুদ সচিব ইতিমধ্যে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে কোয়েস এবং কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন । যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি ।

কলকাতা, ২১ এপ্রিল: ISL-এ খেলার ব্যাপারে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস কী অবস্থান নিতে চলেছে, তা জানতে চেয়ারম্যান অজিত আইজ়্যাককে চিঠি দিলেন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার । ১১ এপ্রিল ফেডারেশন সচিব কুশল দাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ও কার্যকরী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে ফেডারেশন কর্তারা ISL-এ অংশগ্রহণ নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থানের কথা জানতে চান। সেই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতেই সচিব কল্যাণ মজুমদার কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান অজিত আইজ়্যাককে চিঠি দিয়েছেন ।

ইতিমধ্যে ক্লাব ISL-এ খেলতে চায় বলে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েসকে জানিয়েছে। এই মর্মে একটি বৈঠকও করতে চেয়ে চেয়ারম্যানের সময় চেয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু তার উত্তর এখনও আসেনি। সুপার কাপে অংশগ্রহণ না করা নিয়ে কোয়েসের অবস্থানের বিরোধিতা করেছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব । কিন্তু ২৮ মার্চের বৈঠকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে ক্লাব কর্তাদের শান্ত করেছিলেন অজিত। সেই বৈঠকে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কেন আই লিগের জোটে রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কেন জোট ভেঙে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় দিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যাও। কিন্তু মাঝের কয়েকদিনে ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের বৈঠক হয়। এরপরেই ISL-এ অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক নতুন দিকে ঘুরিয়ে দিল।

ইতিমধ্যেই আইলিগ ও ISL যুক্ত করে একটি লিগ আয়োজনের কথা শোনা যাচ্ছে । কিন্তু তার বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কম । ফেডারেশন নতুন মরসুমে আইলিগ ও ISL-কে সমান্তরালভাবে চালাতে চায় বলে খবর। তবে ১১ এপ্রিলের বৈঠকে বলা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান পরিষ্কার হলে নতুন দল নেওয়ার বিড ছাড়া হতে পারে। তাই ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদারের চিঠি ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা ও ক্লাবের সম্পর্কে নতুন সমীকরণের সংকেত দিচ্ছে। প্রসঙ্গত লাল-হলুদ সচিব ইতিমধ্যে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে কোয়েস এবং কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন । যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি ।

Intro:মাঝরাতে ওর হুড়মুড়িয়ে সাইকেল চালানো দেখে আর কেউ সচকিত হয়না। সকলেই জানে জিন্না সাইকেল চালিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটছে। বসিরহাটের বিবিপুরের বাড়ি থেকে কাকড়া মির্জা নগর স্টেশন সতেরো কিলোমিটার দূরে। প্রথম ট্রেন হাসনাবাদ শিয়ালদহ লোকাল ধরতে না পারলে সঠিক সময়ে পৌঁছনো যাবে না যে। আর সময়ে না পৌছতে পারলে প্র্যাকটিসে হয়ত নামা হবে, এক ই সঙ্গে স্যারের বকা শুনতে হবে। বছর আঠারো র ছেলেটা খেলায় ফাকি দিতে চায় না। ক্রিকেট কে আকড়ে জীবন পেতে চায় ও। তাই সমস্ত কষ্ট অপমান সহ্য করে আজ আইপিএলে নেট বোলারের সুযোগ জুটেছে। জিন্না মন্ডল বাংলা র ক্রিকেটের সম্ভাবনা ময় জোরে বোলার।


Body:ক্ষুধার রাজ্যে জিন্না মন্ডলের পৃথিবী সত্যিই গদ্যময়। দুবেলা দুমুঠো অন্নের জন্যে ওর লড়াই আইপিএলে র প্রিজমে দেখলে সাদাকালো সিনেমা মনে হবে। যা হয়ত কোন চিত্রনাট্যকার লিখতে পারলে ধন্য মনে করতেন। বসিরহাটের বিবিপুরের ভাগচাষীর ছেলে জিন্না ইডেনে নেট বোলার।ইতিমধ্যে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ডেভিড মিলারের উইকেট ভেঙে ছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পীযুষ চাওলাকেও আউট করেছেন সম্বরন ব‍্যানার্জীর ক্রিকেট আকাডেমির এই শিক্ষার্থী পেসার। কলকাতা পঞ্জাব ছাড়াও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বল করে নজর কেড়েছেন পাচ ফুট দশ ইঞ্চি লম্বা র ছিপছিপে ছেলেটি। সম্বরন তাকে ডাকেন জোরে বোলার বলে।
নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে জিন্না র বাবা দিনমজুর। পেট চালাতে রাত জেগে মাছ ধরতে হয় তাকে। বাবাকে সাহায্য করতে মাঠে বিলে জলা জমিতে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে মাছ ধরে জিন্না।মা জমিতে ঘাস কাটেন। বাড়িতে হাস মুরগি ছাগল আছে। তা প্রতিপালন করেই মন্ডল পরিবারের গ্রাসাচ্ছদনের লড়াই।
গদ্যময় পৃথিবীতে বাস করেও জিন্নার চোখে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ঢেলা,ডাবের মুচি,লেবু দিয়ে জিন্নার বোলিংয়ের হাতে খড়ি। সেখান থেকে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু। গরিব ঘরের ছেলে, লিকলিকে চেহরা দেখে সুযোগ দিতে চাইত না কেউ। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। দাদাদের ফাইফরমাশ খেটে জল বয়ে মন জুগিয়ে পাড়ার দলে জায়গা পেয়েছিল। এভাবেই টেনিস বলের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এলাকার এক ক্রিকেট প্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না। তারই হাত ধরে হিন্দুস্তান পার্কের সম্বরন ব্যানার্জি র ক্রিকেট আকাডেমি তে। কবছর কলকাতায় প্র্যাকটিস করছে- এই প্রশ্নে জিন্নার সহজ সরল উত্তর,"এবছর আম পাকার সময় এলে দুবছর হবি।"
শনি রবিবার আকাডেমি তে প্র‍্যাকটিস। সপ্তাহের বাকি দিন গুলোতে ফজর নামাজের পরে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা। তারপর প্রতিবেশীদের আমবাগান, ধানক্ষেত কিংবা স্কুলের মাঠে বল ব্যাট নিয়ে অনুশীলন। বিবিপুরের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে ছে জিন্না। স্কুলের হেডমাস্টার মশাই ও গেমটিচার নানাভাবে সাহায্য করছেন।গতবছর ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট ট্রায়ালে ডাক পেলেও সময় মত নথি জমা দিতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলা লিগে সুযোগ পেয়েছে। পান্তাভাত খেয়ে প্র্যাকটিসের কথা শুনে সম্বরন ব্যানার্জি টিফিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আকাডেমি র অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রা জিন্নার প্রতি সহানুভূতিশীল। ইতিমধ্যে আকাডেমি থেকে একমাত্র জিন্নাই নেট বোলার হিসেবে ডাক পেয়েছে।
আইপিএলে র বড় মঞ্চে নেট বোলার হওয়ার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে পরিশালিত করতে চায় জিন্না। বলের গতি বাড়ানোর কারিকুরি আয়ত্ত করতে চায় সে। ডেল স্টেইনের বল করা কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ। আপাতত ক্লাব ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার আশায় দিন গুনছে বছর আঠারো র পেসার। প্রাথমিক ভাবে বাংলা দলে জায়গা করে নেওয়া পাখির র চোখ। তারপর জাতীয় দলের স্বপ্ন।চাষের মাঠ থেকে মিলার পীযুষ চাওলার উইকেট। আইপিএলে র রঙিন ক্রিকেট চোখে নেশা ধরিয়ে ছে। সেই নেশাতেই গদ্য ময় জীবন থেকে ক্রিকেটের রাজপথে ছুটতে চায় দিনমজুরের ছেলে জিন্না মন্ডল।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.