ETV Bharat / briefs

হারের ধাক্কায় নাইট শিবিরে অশান্তির ঘূর্ণাবর্ত - KKR

প্লে অফে জায়গা পেতে হলে বাকি প্রতিটি ম্যাচই নক আউটের মেজাজে খেলতে হবে KKR- কে । কিন্তু এই ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে ড্রেসিংরুমে যে সুস্থ পরিবেশ দরকার তা বোধহয় নাইটদের নেই ।

ফোটো সৌজন্যে : @KKRiders
author img

By

Published : Apr 23, 2019, 6:01 AM IST

কলকাতা, ২৩ এপ্রিল : টানা হারের ধাক্কায় অশান্তির ঘূর্ণাবর্ত কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে । সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে পরাজয়ের পরে কলকাতায় ফিরল KKR । ২৫ এপ্রিল ফের ম্যাচ রয়েছে দীনেশ কার্তিকদের । প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস । প্লে অফে জায়গা পেতে হলে বাকি প্রতিটি ম্যাচই নক আউটের মেজাজে খেলতে হবে । কিন্তু এই ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে ড্রেসিংরুমে যে সুস্থ পরিবেশ দরকার তা বোধহয় নাইটদের নেই । RCB-র বিরুদ্ধে হারের পরে দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আন্দ্রে রাসেল । দলের সেরা ব্যাটসম্যানের প্রশ্নবাণে KKR টিম ম্যানেজমেন্টের যে হেলদোল নেই তা হায়দরাবাদ ম্যাচে ফের সামনে এসেছে । ব্যাটিং অর্ডারে রাসেলের অবস্থানের উন্নতি হয়নি । এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কদর্য ফিল্ডিং ও বোলিং । যা নাইটদের সম্ভবত ব্যর্থতার অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে । ইতিমধ্যে পাঁচটি ম্যাচ হেরেছে তারা ।

নিজামের শহর থেকে KKR-র পুরো দল ফেরেনি । দলের বিদেশি ক্রিকেটাররা ফিরলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে নাইটদের ইন্ডিয়ান ব্রিগেড গতকাল দুপুরে কলকাতায় পা রাখেনি । অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক, রবিন উত্থাপ্পা, কুলদীপ যাদবসহ মোট ছয়জন ক্রিকেটার হায়দরাবাদ থেকে মুম্বইয়ে গেছেন । তারা বুধবার দলের অনুশীলনে যোগ দেবেন । রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মরন বাঁচন লড়াইয়ের আগে দলের একাংশের দলছুট হওয়ার ছবি মোটেই ভালো বার্তা দিচ্ছে না । কেন এই বিভাজন তা নিয়ে KKR-র তরফে কিছু বলা হয়নি । কিন্তু সংবাদমাধ্যমের নাছোড় প্রশ্নের সামনে KKR টিম ম্যানেজমেন্ট উত্তর দিতে বাধ্য হয় । জানানো হয়েছে, গতকাল যারা দলের সঙ্গে কলকাতায় আসেননি তাঁরা মনে করছেন মুম্বইতে প্র্যাকটিস ভালোভাবে করতে পারবেন । দীনেশ কার্তিক, রবিন উত্থাপ্পার এই মানসিকতা ড্রেসিংরুমের অস্থির পরিবেশের ইঙ্গিত দেয় । একইভাবে কোচ কালিসের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে ।

KKR-র তরফে বলা হয়েছে, আজ দল প্র্যাকটিস করবে। কোচ জ্যাক কালিস সাংবাদিক সম্মেলন করবেন । তবে যাই হোক না কেন নাইট শিবিরে এখন বিভাজনের আগুন । অন্তত ক্রিকেট পণ্ডিতরা সেরকমই মনে করছেন ।

কলকাতা, ২৩ এপ্রিল : টানা হারের ধাক্কায় অশান্তির ঘূর্ণাবর্ত কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে । সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে পরাজয়ের পরে কলকাতায় ফিরল KKR । ২৫ এপ্রিল ফের ম্যাচ রয়েছে দীনেশ কার্তিকদের । প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস । প্লে অফে জায়গা পেতে হলে বাকি প্রতিটি ম্যাচই নক আউটের মেজাজে খেলতে হবে । কিন্তু এই ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে ড্রেসিংরুমে যে সুস্থ পরিবেশ দরকার তা বোধহয় নাইটদের নেই । RCB-র বিরুদ্ধে হারের পরে দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আন্দ্রে রাসেল । দলের সেরা ব্যাটসম্যানের প্রশ্নবাণে KKR টিম ম্যানেজমেন্টের যে হেলদোল নেই তা হায়দরাবাদ ম্যাচে ফের সামনে এসেছে । ব্যাটিং অর্ডারে রাসেলের অবস্থানের উন্নতি হয়নি । এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কদর্য ফিল্ডিং ও বোলিং । যা নাইটদের সম্ভবত ব্যর্থতার অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে । ইতিমধ্যে পাঁচটি ম্যাচ হেরেছে তারা ।

নিজামের শহর থেকে KKR-র পুরো দল ফেরেনি । দলের বিদেশি ক্রিকেটাররা ফিরলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে নাইটদের ইন্ডিয়ান ব্রিগেড গতকাল দুপুরে কলকাতায় পা রাখেনি । অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক, রবিন উত্থাপ্পা, কুলদীপ যাদবসহ মোট ছয়জন ক্রিকেটার হায়দরাবাদ থেকে মুম্বইয়ে গেছেন । তারা বুধবার দলের অনুশীলনে যোগ দেবেন । রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মরন বাঁচন লড়াইয়ের আগে দলের একাংশের দলছুট হওয়ার ছবি মোটেই ভালো বার্তা দিচ্ছে না । কেন এই বিভাজন তা নিয়ে KKR-র তরফে কিছু বলা হয়নি । কিন্তু সংবাদমাধ্যমের নাছোড় প্রশ্নের সামনে KKR টিম ম্যানেজমেন্ট উত্তর দিতে বাধ্য হয় । জানানো হয়েছে, গতকাল যারা দলের সঙ্গে কলকাতায় আসেননি তাঁরা মনে করছেন মুম্বইতে প্র্যাকটিস ভালোভাবে করতে পারবেন । দীনেশ কার্তিক, রবিন উত্থাপ্পার এই মানসিকতা ড্রেসিংরুমের অস্থির পরিবেশের ইঙ্গিত দেয় । একইভাবে কোচ কালিসের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে ।

KKR-র তরফে বলা হয়েছে, আজ দল প্র্যাকটিস করবে। কোচ জ্যাক কালিস সাংবাদিক সম্মেলন করবেন । তবে যাই হোক না কেন নাইট শিবিরে এখন বিভাজনের আগুন । অন্তত ক্রিকেট পণ্ডিতরা সেরকমই মনে করছেন ।

Intro:মাঝরাতে ওর হুড়মুড়িয়ে সাইকেল চালানো দেখে আর কেউ সচকিত হয়না। সকলেই জানে জিন্না সাইকেল চালিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটছে। বসিরহাটের বিবিপুরের বাড়ি থেকে কাকড়া মির্জা নগর স্টেশন সতেরো কিলোমিটার দূরে। প্রথম ট্রেন হাসনাবাদ শিয়ালদহ লোকাল ধরতে না পারলে সঠিক সময়ে পৌঁছনো যাবে না যে। আর সময়ে না পৌছতে পারলে প্র্যাকটিসে হয়ত নামা হবে, এক ই সঙ্গে স্যারের বকা শুনতে হবে। বছর আঠারো র ছেলেটা খেলায় ফাকি দিতে চায় না। ক্রিকেট কে আকড়ে জীবন পেতে চায় ও। তাই সমস্ত কষ্ট অপমান সহ্য করে আজ আইপিএলে নেট বোলারের সুযোগ জুটেছে। জিন্না মন্ডল বাংলা র ক্রিকেটের সম্ভাবনা ময় জোরে বোলার।


Body:ক্ষুধার রাজ্যে জিন্না মন্ডলের পৃথিবী সত্যিই গদ্যময়। দুবেলা দুমুঠো অন্নের জন্যে ওর লড়াই আইপিএলে র প্রিজমে দেখলে সাদাকালো সিনেমা মনে হবে। যা হয়ত কোন চিত্রনাট্যকার লিখতে পারলে ধন্য মনে করতেন। বসিরহাটের বিবিপুরের ভাগচাষীর ছেলে জিন্না ইডেনে নেট বোলার।ইতিমধ্যে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ডেভিড মিলারের উইকেট ভেঙে ছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পীযুষ চাওলাকেও আউট করেছেন সম্বরন ব‍্যানার্জীর ক্রিকেট আকাডেমির এই শিক্ষার্থী পেসার। কলকাতা পঞ্জাব ছাড়াও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বল করে নজর কেড়েছেন পাচ ফুট দশ ইঞ্চি লম্বা র ছিপছিপে ছেলেটি। সম্বরন তাকে ডাকেন জোরে বোলার বলে।
নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে জিন্না র বাবা দিনমজুর। পেট চালাতে রাত জেগে মাছ ধরতে হয় তাকে। বাবাকে সাহায্য করতে মাঠে বিলে জলা জমিতে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে মাছ ধরে জিন্না।মা জমিতে ঘাস কাটেন। বাড়িতে হাস মুরগি ছাগল আছে। তা প্রতিপালন করেই মন্ডল পরিবারের গ্রাসাচ্ছদনের লড়াই।
গদ্যময় পৃথিবীতে বাস করেও জিন্নার চোখে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ঢেলা,ডাবের মুচি,লেবু দিয়ে জিন্নার বোলিংয়ের হাতে খড়ি। সেখান থেকে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু। গরিব ঘরের ছেলে, লিকলিকে চেহরা দেখে সুযোগ দিতে চাইত না কেউ। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। দাদাদের ফাইফরমাশ খেটে জল বয়ে মন জুগিয়ে পাড়ার দলে জায়গা পেয়েছিল। এভাবেই টেনিস বলের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এলাকার এক ক্রিকেট প্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না। তারই হাত ধরে হিন্দুস্তান পার্কের সম্বরন ব্যানার্জি র ক্রিকেট আকাডেমি তে। কবছর কলকাতায় প্র্যাকটিস করছে- এই প্রশ্নে জিন্নার সহজ সরল উত্তর,"এবছর আম পাকার সময় এলে দুবছর হবি।"
শনি রবিবার আকাডেমি তে প্র‍্যাকটিস। সপ্তাহের বাকি দিন গুলোতে ফজর নামাজের পরে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা। তারপর প্রতিবেশীদের আমবাগান, ধানক্ষেত কিংবা স্কুলের মাঠে বল ব্যাট নিয়ে অনুশীলন। বিবিপুরের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে ছে জিন্না। স্কুলের হেডমাস্টার মশাই ও গেমটিচার নানাভাবে সাহায্য করছেন।গতবছর ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট ট্রায়ালে ডাক পেলেও সময় মত নথি জমা দিতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলা লিগে সুযোগ পেয়েছে। পান্তাভাত খেয়ে প্র্যাকটিসের কথা শুনে সম্বরন ব্যানার্জি টিফিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আকাডেমি র অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রা জিন্নার প্রতি সহানুভূতিশীল। ইতিমধ্যে আকাডেমি থেকে একমাত্র জিন্নাই নেট বোলার হিসেবে ডাক পেয়েছে।
আইপিএলে র বড় মঞ্চে নেট বোলার হওয়ার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে পরিশালিত করতে চায় জিন্না। বলের গতি বাড়ানোর কারিকুরি আয়ত্ত করতে চায় সে। ডেল স্টেইনের বল করা কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ। আপাতত ক্লাব ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার আশায় দিন গুনছে বছর আঠারো র পেসার। প্রাথমিক ভাবে বাংলা দলে জায়গা করে নেওয়া পাখির র চোখ। তারপর জাতীয় দলের স্বপ্ন।চাষের মাঠ থেকে মিলার পীযুষ চাওলার উইকেট। আইপিএলে র রঙিন ক্রিকেট চোখে নেশা ধরিয়ে ছে। সেই নেশাতেই গদ্য ময় জীবন থেকে ক্রিকেটের রাজপথে ছুটতে চায় দিনমজুরের ছেলে জিন্না মন্ডল।


Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.