ETV Bharat / briefs

লাঠিচার্জ ও জলকামানে ধুন্ধুমার মধ্য কলকাতায়, লালবাজারের অনেক আগেই থামল অভিযান

BJP সূত্রের দাবি, কাঁদানে গ্যাসের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল রায়, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শীর্ষ নেতারা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের পাঠানো হয় হাসপাতালে ।

লাঠিচার্জ ও জলকামানে ধুন্ধুমার মধ্য কলকাতায়, লালবাজারের অনেক আগেই থামল অভিযান
author img

By

Published : Jun 12, 2019, 4:54 PM IST

Updated : Jun 12, 2019, 8:50 PM IST

কলকাতা, 12 জুন : উদ্দেশ্য ছিল সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদ জানানো । লক্ষ্যপূরণে শান্তিপূর্ণভাবে লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের BJP নেতৃত্ব ।

পূর্বঘোষিত সেই কর্মসূচি ঘিরেই আজ কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল মধ্য কলকাতা । সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজারমুখী গোটা রাস্তাই বন্ধ হয়ে গেল । লালবাজারের অনেক আগেই অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য হলেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা ।

দেখুন ভিডিয়ো

আজ সকাল থেকেই সাজ সাজ রবে অভিযানের পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য BJP । সব সাংসদদের নিয়ে লালবাজার অভিযানের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে BJP কর্মীদের জড়ো করা হচ্ছিল গতকাল থেকে । অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের এই পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে যেন কোমর বেঁধেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার । ফিয়ার্স লেন, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-র মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল । অভিযান ব্যর্থ করার জন্য জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল । পুরো ব্যবস্থার নজরদারিতে রাখা হয়েছিল ড্রোন ।

এই সংক্রান্ত খবর : "গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক, মস্তিষ্কের ভারসাম্য হারিয়েছেন মমতা"

যা হওয়ার ঠিক তাই ঘটল । লালবাজার অভিযান ব্যর্থ করতে পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করল রাজ্য সরকার । কাঁদানে গ্যাস, জলকামানের জেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল BJP-র অভিযান । BJP সূত্রের দাবি, কাঁদানে গ্যাসের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল রায়, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শীর্ষ নেতারা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের পাঠানো হয় হাসপাতালে ।

এই সংক্রান্ত খবর : মমতা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন, এভাবে চললে কেন্দ্র ভাববে : কৈলাস

এরপর সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে অবস্থানে বসেন সাংসদরা । লকেট চট্টোপাধ্যায় , সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, অর্জুন সিং সহ অন্য সাংসদদের অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে পুলিশ । কিন্তু সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন তাঁরা ।

এই সংক্রান্ত খবর : এরকম স্বৈরাচারী সরকার দেখিনি : দিলীপ

BJP-র মিছিলটি যখন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজারের দিকে যাচ্ছিল তখনই পুলিশের তরফে প্রথম বাধা আসে । কিন্তু সেই ব্যারিকেড ভেঙে দেন BJP নেতা-কর্মীরা । তখনই শুরু হয় ধুন্ধুমার । লাঠিচার্জ, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে অভিযানকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ ।

এই সংক্রান্ত খবর : কন্ডাক্টর থেকে তাবড় তৃণমূল নেতা, সন্দেশখালির 'ত্রাস' শাহজাহান !

পুলিশি তৎপরতায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও বউবাজারের মুখেই থমকে যায় BJP-র লালবাজার অভিযান । লালবাজার থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার আগেই আটকে যায় মিছিল । সেখান থেকেই ফিরতে হয় BJP নেতাদের । আজকের অভিযানে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন BJP নেতারা । দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, "জঘন্য রাজনীতি চলছে বাংলায় । এখানে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে ।" তাঁর দাবি, বিনা প্ররোচনায় কাঁদানে গ্যাস ফাটিয়েছে পুলিশ ।

এই সংক্রান্ত খবর : সন্দেশখালি ইশু : তদন্তে IB

অন্যদিকে রাজ্যে BJP-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দাবি, রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর । এভাবে চলতে থাকলে রাজ্যের বিষয়ে কেন্দ্র ভাববে । রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত দিয়ে কৈলাসের মন্তব্য, "আমরা চাই পাঁচ বছর সরকার চলুক । কিন্তু এভাবে চললে কেন্দ্রকে ভাবতে হবে । "

এই সংক্রান্ত খবর : মমতা অবিলম্বে পদত্যাগ করুন : লকেট

সন্দেশখালির ঘটনায় তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি । তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আঙুল তুলেছে BJP । বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তারা । লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম প্রকাশ্য অভিযান ছিল আজই । অন্যদিকে লোকসভা ভোটে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেস্টিজ ফাইট ছিল আজ । সর্বশক্তি দিয়ে অভিযান আটকানো ছিল রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য । পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সেই পথেই হাঁটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ।

কলকাতা, 12 জুন : উদ্দেশ্য ছিল সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদ জানানো । লক্ষ্যপূরণে শান্তিপূর্ণভাবে লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের BJP নেতৃত্ব ।

পূর্বঘোষিত সেই কর্মসূচি ঘিরেই আজ কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল মধ্য কলকাতা । সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজারমুখী গোটা রাস্তাই বন্ধ হয়ে গেল । লালবাজারের অনেক আগেই অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য হলেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা ।

দেখুন ভিডিয়ো

আজ সকাল থেকেই সাজ সাজ রবে অভিযানের পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য BJP । সব সাংসদদের নিয়ে লালবাজার অভিযানের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে BJP কর্মীদের জড়ো করা হচ্ছিল গতকাল থেকে । অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের এই পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে যেন কোমর বেঁধেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার । ফিয়ার্স লেন, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-র মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল । অভিযান ব্যর্থ করার জন্য জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল । পুরো ব্যবস্থার নজরদারিতে রাখা হয়েছিল ড্রোন ।

এই সংক্রান্ত খবর : "গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক, মস্তিষ্কের ভারসাম্য হারিয়েছেন মমতা"

যা হওয়ার ঠিক তাই ঘটল । লালবাজার অভিযান ব্যর্থ করতে পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করল রাজ্য সরকার । কাঁদানে গ্যাস, জলকামানের জেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল BJP-র অভিযান । BJP সূত্রের দাবি, কাঁদানে গ্যাসের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল রায়, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শীর্ষ নেতারা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের পাঠানো হয় হাসপাতালে ।

এই সংক্রান্ত খবর : মমতা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন, এভাবে চললে কেন্দ্র ভাববে : কৈলাস

এরপর সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে অবস্থানে বসেন সাংসদরা । লকেট চট্টোপাধ্যায় , সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, অর্জুন সিং সহ অন্য সাংসদদের অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে পুলিশ । কিন্তু সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন তাঁরা ।

এই সংক্রান্ত খবর : এরকম স্বৈরাচারী সরকার দেখিনি : দিলীপ

BJP-র মিছিলটি যখন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজারের দিকে যাচ্ছিল তখনই পুলিশের তরফে প্রথম বাধা আসে । কিন্তু সেই ব্যারিকেড ভেঙে দেন BJP নেতা-কর্মীরা । তখনই শুরু হয় ধুন্ধুমার । লাঠিচার্জ, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে অভিযানকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ ।

এই সংক্রান্ত খবর : কন্ডাক্টর থেকে তাবড় তৃণমূল নেতা, সন্দেশখালির 'ত্রাস' শাহজাহান !

পুলিশি তৎপরতায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও বউবাজারের মুখেই থমকে যায় BJP-র লালবাজার অভিযান । লালবাজার থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার আগেই আটকে যায় মিছিল । সেখান থেকেই ফিরতে হয় BJP নেতাদের । আজকের অভিযানে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন BJP নেতারা । দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, "জঘন্য রাজনীতি চলছে বাংলায় । এখানে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে ।" তাঁর দাবি, বিনা প্ররোচনায় কাঁদানে গ্যাস ফাটিয়েছে পুলিশ ।

এই সংক্রান্ত খবর : সন্দেশখালি ইশু : তদন্তে IB

অন্যদিকে রাজ্যে BJP-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দাবি, রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর । এভাবে চলতে থাকলে রাজ্যের বিষয়ে কেন্দ্র ভাববে । রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত দিয়ে কৈলাসের মন্তব্য, "আমরা চাই পাঁচ বছর সরকার চলুক । কিন্তু এভাবে চললে কেন্দ্রকে ভাবতে হবে । "

এই সংক্রান্ত খবর : মমতা অবিলম্বে পদত্যাগ করুন : লকেট

সন্দেশখালির ঘটনায় তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি । তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আঙুল তুলেছে BJP । বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তারা । লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম প্রকাশ্য অভিযান ছিল আজই । অন্যদিকে লোকসভা ভোটে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেস্টিজ ফাইট ছিল আজ । সর্বশক্তি দিয়ে অভিযান আটকানো ছিল রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য । পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সেই পথেই হাঁটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ।

Intro:
12-06-19

সুজয় ঘোষ, কলকাতা




কলকাতাঃ কাল বুধবার বিজেপির লালবাজার অভিযানে কর্মসূচিতে ১ লক্ষ মানুষের জমায়েত করার টার্গেট বিজেপি। কাল বিজেপির এই মিছিল ঘিরে কলকাতা অচল হওয়ার সম্ভবনা আছে। তবে এই মিছিল ঘিরে বড় ধরণের গন্ডোগোল হতে পারে বলেও বিজেপি সূত্রে খবর।

কাল বিজেপির লালবাজার অভিযান অভিযান কর্মসূচি। দুপুর ১২ টা থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার ( ওয়েলিংটন মোড়) থেকে লালবাজার অভিযান কর্মসূচি শুরু হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও মেদনীপুরের নব নিযুক্ত সাংসদ দিলীপ ঘোষ এর নেতৃত্বে লালবাজার অভিযান হবে। কাল এই অভিযানে বিজেপির ১৮ জন নব নিযুক্ত সাংসদই কালের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।

কাল বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীকেও লালাবাজার অভিযানে থাকার জন্য দলীয় তরফে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। প্রথম সারিতে ১৮ জন সাংসদ থাকলেও দ্বিতীয় দফায় বিজেপির নির্বাচণ কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায়,কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, রাজ্য সভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি সহ, সমস্ত সাধারণ সম্পাদক, রাজ্য কমিটির সমস্ত সদস্য হাজির থাকবেন।

বিজেপি সূত্রে খবর, তবে কাল লালবাজার অভিযানে বড় ধরণের কোনও গন্ডোগল এড়াতে ও কোনও পরোচণায় পা না দেওয়ার জন্য আজ দলীয় তরফে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা রাজ্যের সমস্ত জেলা সভাপতি ও মোর্চা সভাপতিদের জানানো হয়েছে।
কাল বিজেপির লালবাজার অভিযানে কলকাতা অচল হওয়ার সম্ভবনা আছে। দলীয় কর্মীরা, রাজ্য দপ্তর সেন্ট্রাল এভিনিউ,হাওড়া ও শিয়লদহ থেকেও গাড়িতে করে লালাবাজার অভিযানে অংশ নিচ্ছে। আজ বিজেপির পক্ষ থেকে কাল লালবাজার অভিযান সফল করতে দিলীপ ঘোষ তার বাসভবনে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। কাল মিছিলে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার ও মহিলা মোর্চার সভনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় কে বাড়র্তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্ত বসু বলেন, " কাল লালবাজার অভিযানের জন্য বিজেপি প্রস্তত। তবে মুখ্যমন্ত্রী খুব চাপে আছে সেটাও প্রমাণ মিলেছে। কাল এই জমাতেতে সমস্ত শাখা সংগঠনের কাজগুলি কি অবস্থায়। সেটাও দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে"
Body:কপিConclusion:
Last Updated : Jun 12, 2019, 8:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.