জয়পুর, 20 নভেম্বর: হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে নিজের স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরের করধানি থানা এলাকায় ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঋণ ও পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করেছে যুবক ।
পুলিশ আধিকারিক উদয় সিং সোমবার জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি ঘটেছে করধানির সারনা দুঙ্গার এলাকায় । অভিযুক্তের নাম অমিত কুমার ওরফে করণ যাদব ৷ স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। অমিত উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরের বাসিন্দা। জয়পুরে ধূপকাঠি তৈরির কাজ করেন। 17 নভেম্বর রাতে স্ত্রী কিরণ ও বড় মেয়েকে হত্যা করে দেহ দুটি বাড়ির একটি ঘরে রেখে দেন অভিযুক্ত।
এরপর দিনভর ছোট মেয়েকে নিয়ে বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা করতে থাকেন । রাতে বাড়ি এসে ছোট মেয়েকে নিয়ে অন্য ঘরে শুয়ে পরেন ৷ পরে রবিবার ভোররাতে ছোট মেয়েকেও হত্যা করেন বলে অনুমান পুলিশের ৷ এরপর দেহ তিনটি সেখানে রেখেই পালিয়ে যান । অমিতকে তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে প্রতিবেশীদেরও সন্দেহ হয় ৷ ঘর বন্ধ থাকায় সন্দেহ আরও বাড়ে ৷ তারপরে প্রতিবেশীরাই পুলিশকে খবর দেন ।
পুলিশ মোবাইলের লোকেশন থেকে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে ৷ কনকপুরা রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে । জানা গিয়েছে, প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের ৷ কিন্তু ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন স্বামী ৷ দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা ঋণ ছিল তাঁর । এর পাশাপাশি স্ত্রীর সঙ্গে কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিবাদেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ তিনটি উদ্ধার করে । নিহতদের দেহ কানভাটিয়া হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে । দেহগুলির আজ ময়নাতদন্ত হবে । পুলিশ কিরণের পরিবারকে এই ঘটনার কথা জানিয়েছে । আজ জয়পুরে পৌঁছেছেন তাঁরা । ময়নাতদন্ত শেষে দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: