বেলাগাভি (কর্ণাটক), 11 ডিসেম্বর: রবিবার রাতে কর্ণাটকের বেলাগাভি তালুকের একটি গ্রামে এক মহিলাকে বিবস্ত্র ঘোরানো হল ৷ এরপর তাঁকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধেও রাখা হল! পরবর্তীতে তাঁকে মারধরও করা হয় ৷ চরম অমানবিকতার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে 7জনকে ৷
জানা যায়, নির্যাতিতা ওই মহিলার ছেলে তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় রবিবার রাতে ৷ তরুণীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা ছেলের মাকে সবক শেখাতে সিদ্ধান্ত নেন তাঁকে বিবস্ত্র করে গোটা গ্রাম ঘোরাবে ৷ তারপর ছেলের মাকে মারধর করে তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। 42 বছর বয়সি ওই মহিলা মহিলাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে, নগ্ন করে যুবকের বাড়িতে ভাঙচুরও করা হয় ৷ ঘটনায় পুলিশ জানায়, নির্যাতিতার ছেলে ও গ্রামের এক যুবতী একে অপরের সঙ্গে প্রেমে পড়েছিল। তারা গতকাল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তরুণীর পরিবার অন্য এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে। আর আজ তাঁর বাগদান অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। পরিবারের সদস্যরা বিয়ের তারিখও ঠিক করেন। কিন্তু বাগদানের আগে তাঁরা পালিয়ে যায়।
কাকতি থানার পুলিশ গতকাল ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে যায়। 7 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । পুলিশ কমিশনার এসএন সিদ্দারমাপ্পাও আজ সকালে গ্রামে গিয়ে পলাতক যুবক ও তরুণীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, 2টি কেএসআরপি স্কোয়াড এবং একটি পুলিশ দলও গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ওই নির্যাতিতা মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় 7জনকে গ্রেফতার করেছে ৷ আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া: অমানবিক এই ঘটনায় সিদ্দারামাইয়া জানান, ঘটনায় দোষী যেই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানান, এক মহিলাকে নগ্ন করে, খুঁটির সঙ্গে বেঁধে তাঁর সম্মানহানি করা হয়। তিনি জেলা হাসপাতালে যান এবং নির্যাতিত মহিলার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালে যান পুলিশ কমিশনার এসএন সিদ্দারমাপ্পা এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: