চণ্ডীগড়, 24 জানুয়ারি: দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুললেন এক যুবক৷ গত শুক্রবার সিঙ্ঘু সীমানা থেকে তাঁকে পাকড়াও করেন কৃষকরা৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, আসন্ন সাধারণতন্ত্র দিবসে আন্দোলনকারীদের প্রস্তাবিত ট্রাক্টর মিছিল ভণ্ডুল করতেই সিঙ্ঘুতে এসেছিলেন ওই যুবক৷ রবিবার হরিয়ানা পুলিশের ডিজি মনোজ যাদব দাবি করেন, আটক করার পর ওই যুবকের উপর অত্য়াচার করেন কৃষকরা৷
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও আরও দু‘জনকে আটকে রেখেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা৷ ওই দু‘জনকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে৷
ডিজি জানান, আন্দোলনকারীদের সাধারণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে পুলিশ একটি বিশেষ বাহিনী তৈরি করেছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন৷
ডিজিপি যাদব এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের কর্মসূচি ভেস্তে দিতেই নাকি পুলিশ ওই যুবককে আন্দোলনকারীদের শিবিরে পাঠিয়েছিল৷ এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন৷ বরং কৃষকরাই সন্দেহভাজন ওই যুবককে মারধর করেছেন৷ তাঁর পিঠে অত্য়াচারের চিহ্নও মিলেছে৷ ওই যুবক আমাদের জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা এমন আরও দু‘জনকে আটকে রেখেছেন৷ তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে৷‘‘
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাতে অভিযুক্ত ওই যুবককে পাকড়াও করেন কৃষকরা৷ শনিবারই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ ওই যুবক দাবি করেন, কৃষকদের সাধারণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচি ভেস্তে দিতেই তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল৷ একজন পুলিশকর্মীই নাকি তাঁকে এই প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন৷ যাতে প্রায় দু‘মাস ধরে চলা এই আন্দোলন ভণ্ডুল করে দেওয়া যায়৷
শনিবার রাতে ওই যুবক সংবাদমাধ্য়মকে বলেন, ‘‘সাধারণতন্ত্র দিবসে যখন দিল্লি পুলিশ কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করবে, তখন আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের৷ তারপরও কৃষকরা না থামলে, তাঁদের লক্ষ্য় করেই গুলি ছুড়তাম আমরা৷‘‘ তাদের এই দলে দু‘জন মহিলাও ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ওই যুবক৷