দেরাদুন, 20 নভেম্বর: উত্তরকাশীতে নির্মীয়মান টানেল ভেঙে পড়ার পর কেটে গিয়েছে 9 দিন। এখনও পর্যন্ত টানেলে আটকে পড়া 41 জনের মধ্যে একজনকেও নিরাপদে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, যে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে পাইপ লাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হলেও তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এই ঘটনায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্য়মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জোগাড় করা থেকে শুরু করে অন্য ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকার করছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্থাগুলির মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা হবে। আটকে পড়া শ্রমিকদের মনোবল বজায় রাখতে হবে ৷
শনিবার, 18 নভেম্বর দুর্ঘটনার সপ্তম দিনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) উপসচিব মঙ্গেশ ঘিলদিয়াল এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া 41 জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করতে সুড়ঙ্গের ডান ও বাঁ-দিকের অংশে আলাদা আলাদা সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে যাতে শ্রমিকদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া যায়। এ জন্য খননের কাজ শুরু হয়েছে।
আটকে পড়া শ্রমিকদের অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পাইপের মাধ্যমে খাবার ও ওআরএস পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সময় যত এগোচ্ছে, ততই আশঙ্কা আর উদ্বেগ ঘিরে ধরছে শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারগুলিকে। উল্লেখ্য, গত 12 নভেম্বর সকাল সাড়ে 5টা নাগাদ ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী হাইওয়ের নির্মীয়মান সুড়ঙ্গটির একাংশ ধসে পড়ে। সেই থেকে সাড়ে আট মিটার উঁচু ও প্রায় দু'কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা ৷ সেই থেকে উদ্ধারের চেষ্টা হলেও এখনও সেখানেই আটকে শ্রমিকরা ।
আরও পড়ুন: