নয়াদিল্লি, 17 অক্টোবর: "সমকাম, সমপ্রেম একটি প্রাকৃতিক বিষয়", বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ৷
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
- সমলিঙ্গ বিবাহের ক্ষেত্রে দম্পতিকে সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার দায় কেন্দ্রীয় সরকারের এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের ৷ তবে এই বিয়ে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতাধীন নাও হতে পারে ৷
- সমকামী বা সমপ্রেমী দম্পতির বিয়ের অধিকার আছে ৷ রাজ্য সরকারকে এই দম্পতিদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ৷
- কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে এই এলজিবিটিকিউ+ গোষ্ঠীর জন্য একটি হটলাইন চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ৷
- পরিবারের কেউ এলজিবিটিকিউ+ গোষ্ঠীভুক্ত কাউকেই হরমোনাল থেরাপির জন্য বাধ্য করতে পারে না ৷
- দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, " সমকাম, সমপ্রেম শহুরে ভাবনা নয় বা তা শুধুমাত্র সমাজের উচ্চশ্রেণির মধ্যেই সীমাবদ্ধ, এমনটাও নয় ৷"
- এলজিবিটিকিউ+ গোষ্ঠী শুধুমাত্র শহরেই থাকে, এটা ভাবার অর্থ তাদের অস্তিত্ব মুছে ফেলা ৷
- বিবাহ বিবর্তনবাদ, এই প্রতিষ্ঠানের কোনও পরিবর্তন হয় না, এই ভাবনা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ৷
- অবিবাহিত দম্পতিরা সন্তান দত্তক নিতে পারেন ৷
"আদালত আইন প্রণয়ন করতে পারে না ৷ আইনের ব্যাখ্যা করতে পারে", বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ মঙ্গলবার সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট ৷ দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবে ৷
সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি স্বীকৃতি চেয়ে বহু আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে ৷ এবছরের মে মাসে সেই মামলাগুলির শুনানি হয় ৷ তবে রায় ঘোষণা বাকি ছিল ৷ আজ সেই দিন ৷ সমলিঙ্গ বিবাহ সম্পর্কিত 21টি আবেদনের ভিত্তিতে রায় ঘোষণা পর্ব শুরু হয়েছে ৷ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, এই আবেদনগুলি পর্যালোচনা করে চারটি পৃথক রায় দেবে আদালত ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করছে ৷ এই বেঞ্চের অন্য সদস্যরা এস কে কৌল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি পিএস নরসিমহা ৷
আরও পড়ুন: সমলিঙ্গ বিবাহে আইনি স্বীকৃতির দাবি, মঙ্গলে রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের