নয়াদিল্লি, 23 অগস্ট : বিলকিস বানোর (Bilkis Bano Case) 11 জন ধর্ষককে সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছে গুজরাত সরকার (Gujarat Government) ৷ এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে দেশজুড়ে ৷ এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক আবেদন জমা পড়ল ৷ যে আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷
মঙ্গলবার বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবলের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় ৷ তারই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে থাকা বেঞ্চ শুনানির বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দেয় ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ওই সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আগেই সুপ্রিম কোর্টই একটি নির্দেশ দিয়েছিল ৷ তার প্রেক্ষিতেই গুজরাত সরকার বিষয়টি বিবেচনা করে এবং সম্প্রতি ওই 11 জনকে মুক্তি দেওয়া হয় ৷ এদিন কপিল সিবল যে আবেদন করেছেন, সেখানে তিনি জানিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশ নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই ৷ সেটা ঠিকই ছিল ৷ কিন্তু মুক্তি দেওয়ার জন্য যে কারণ দেখানো হয়েছে, সেটার বিরোধিতা করে এই মামলা করা হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, বিলকিস বানো ধর্ষিতা হয়েছিলেন 2002 সালের গুজরাত দাঙ্গার (Gujarat Riots) সময় ৷ ঘটনাটি ঘটে ওই বছর 3 মার্চ ৷ বিলকিস বানো সেই সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ৷ তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় ৷ তাঁর তিন বছরের মেয়ে সালেহা-সহ 14 জনকে খুন করা হয় ৷ সম্প্রতি ওই ঘটনায় দোষীদের মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার ৷
আর মুক্তির পর তাদের যেভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে, তা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয় ৷ বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা শুরু হয় ৷ এই পরিস্থিতিতে শোভাসিনী আলি, রেবতী লাল ও রূপরেখা বর্মা জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্ট ৷ এছাড়া কপিল সিবল ও আইনজীবী অপর্ণা ভাটও প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন ৷
আরও পড়ুন : অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোর গণধর্ষণ ও 7 খুন, সাজাপ্রাপ্ত 11 জন দোষীর মুক্তি