নয়াদিল্লি, 24 জুলাই: অসমে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই মামলা দায়ের করেছিলেন অসমের ন’টি রাজনৈতিক দলের 10 জন রাজনৈতিক নেতা ৷ সোমবার মামলার শুনানি হয় দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে ৷ আদালত জানায়, গত জুনে যখন খসড়া প্রস্তাব জারি করে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখন এই পরিস্থিতিতে ডিলিমিটেশন শুরু হয়ে যাওয়ার পর এই প্রক্রিয়া স্থগিত করা যাবে না ৷
অসমে ডিলিমিটেশন: অসমে বিধানসভার আসনের সংখ্যা 126 ৷ সেখানে লোকসভার আসনের সংখ্যা 14 ৷ এই আসনগুলির ডিলিমিটেশন করতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন খসড়া প্রস্তাব জারি করেছে ৷ সেই প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে ৷ এই প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করার আবেদন করা হয়েছিল ৷ সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও শীর্ষ আদালত এই মামলায় নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব করেছে ৷
এই মামলায় আবেদনকারীরা 1950 সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের 8এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন ৷ সুপ্রিম কোর্ট 1950 সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের 8এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা পরীক্ষা করতে সম্মত হয়েছে ৷ জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের এই ধারাই নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের ক্ষমতা দেয় ।
কেন্দ্র ও কমিশনের জবাব তলব: শীর্ষ আদালত তিন সপ্তাহের মধ্যে পিটিশনগুলিতে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের জবাব চেয়েছে ৷ আদালত আরও জানিয়েছে যে আবেদনকারীরা তার পরে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের জবাব দাখিল করতে পারেন । দিল্লির অর্ডিন্যান্স সংক্রান্ত মামলার পরই এই মামলা তালিকাভুক্ত করা হবে বলে এ দিন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে যে রাষ্ট্রপতি অসমে ডিলিমিটেশনের প্রক্রিয়া স্থগিত করেছিলেন ৷ তবে 2020 সালের ফেব্রুয়ারিতে আইন মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রাষ্ট্রপতি আগের বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করেছেন । আদালতের বক্তব্য, 8এ ধারায় চারটি রাজ্যের জন্য একটি বিশেষ বিধান দেওয়া রয়েছে ৷ ওই চার রাজ্য হল - মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, অসম ও নাগাল্যান্ড ৷ ওই রাজ্যগুলিতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার পর নির্বাচন কমিশন বিধানসভা ও লোকসভার সীমানা নির্ধারণ করতে পারে ৷
শীর্ষ আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে এই রাজ্যগুলির পরিস্থিতি ডিলিমিটেশনের জন্য অনুকূল, তবেই তিনি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে পারেন ৷ একই সঙ্গে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার কিছু উপধারায় নির্দিষ্ট করা আছে যে কীভাবে এই কাজ করবে নির্বাচন কমিশন ৷
আরও পড়ুন: রামনবমীর হিংসা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের, এনআইএ তদন্ত বহাল শীর্ষ আদালতের