মুম্বই, 5 মে: এনসিপি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেও তা প্রত্যাহার করলেন শরদ পাওয়ার ৷ সমর্থকদের আকুতী ৷ দলের অন্দরে প্রবল চাপ ৷ সব মিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন এনসিপি প্রধান ৷ শরদ পাওয়ারের এনসিপি প্রধানের পদ না-ছাড়ার সিদ্ধান্তে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল ৷ পাশাপাশি লোকসভা ভোটের আগে পাওয়ারের যায়গায় এনসিপি দলের হাল সামলানো নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল ৷ মেয়ে সুপ্রিয়া শুলে নাকি দলের সহ-সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেল, কে বসবে চেয়ারে, জল্পনা চড়ছিল ক্রমেই ৷ শেষ পর্যন্ত সব দিক বিবেচনা করেই পদে বহাল রইলেন পাওয়ার ৷
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে পাওয়ার জানান, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র জাতীয় সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা তিনি ফিরিয়ে নিলেন। এদিন তিনি বলেন, "আমি আমার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিচ্ছি ৷ দলের অন্যরাও এখানে আছে। কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং তাঁদের সিদ্ধান্তের পর আমি ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমি ফিরিয়ে নিয়েছি। এ নিয়ে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আলোচনা করেছেন। কমিটিতে এনেক সিনিয়র নেতারা আছেন ৷" রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এনসিপি প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার ৷ এরপরই জল্পনা শুরু হয় মারাঠি রাজনীতিতে ৷ তাঁকে ছাড়তে নারাজ বলে দলের তরফে একাধিক নেতা বারবার প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন ৷ এমনকী যে তিনজনকে নিয়ে এনসিপি এবং দলের বাইরে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছিল সেই সুপ্রিয়া শুলে, প্রফুল্ল প্যাটেল এবং অজিত পাওয়ারও সাফ জানিয়ে দেয় তাঁরা কেউই এনসিপি প্রধানের পদে বসতে নারাজ ৷ এরপরই এনসিপি কর্মী-সমর্থকরা জানিয়ে দেয়, এনসিপি সুপ্রিমো পদে পাওয়ারকেই দেখতে চেন তারা ৷
এদিন দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে শরদ পাওয়ার বলেন, "আমি আপনাদের অনুভূতিকে অসম্মান করতে পারি না। আপনাদের ভালবাসার কারণে, আমি আমার পদত্যাগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ এবং সিনিয়র এনসিপি নেতারা আমার এই প্রস্তাবকে গ্রহণ করেছে, তাঁদেরও আমি সম্মান জানাচ্ছি। আমি জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছি ৷" যদিও এদিনের বৈঠকে বা সাংবেদিক সম্মেলনে অজিত পাওয়ারকে দেখা যায়নি ৷ অজিতের অনুপস্থিতি আরও এক জল্পনা উষ্কে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ এদিন এ প্রসঙ্গে পাওয়ার বলেন, "একটি সাংবাদিক বৈঠকে সকলেই উপস্থিত থাকতে পারবেন এটা ঠিক নয়। কেউ কেউ এখানে আছেন আবার কেউ নেই। তবে আজ সকালে দলের সিনিয়র নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে অবগত করেছেন। সেই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সবাই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। সুতরাং, এখানে কে উপস্থিত আছেন বা কারা নেই এর অর্থ খোঁজা অপ্রাসঙ্গিক ৷"