কচ্ছ, 1 নভেম্বর: স্কুল শিক্ষকের লালসার শিকার একাধিক নাবালিকা ছাত্রী ! এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে গুজরাতের কচ্ছ জেলায় ৷ কচ্ছের একটি গ্রামে আবাসিক স্কুলের ছাত্রীদের মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখিয়ে, তাদের উপর নির্যাতন চালাতেন অভিযুক্ত শিক্ষক ৷ এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায় ৷ এর পরেই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ৷ তাঁর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় দেড় বছর আগে ওই স্কুলে পড়ানোর জন্য আসেন অভিযুক্ত শিক্ষক ৷ আর তার কয়েকমাস পর থেকে তিনি, স্কুলের আবাসিক ছাত্রীদের উপর যৌন নির্যাতন শুরু করেন ৷ অভিযোগ মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিয়ো দেখাতেন তিনি ৷ তার পরেই ছাত্রীদের সঙ্গে আশালীন আচরণ শুরু করতেন ওই শিক্ষক ৷ মূলত, নিচু শ্রেণির ছাত্রীরা ছিল তাঁর সহজ শিকার ৷ তাঁদের ভয়ও দেখাতেন অভিযুক্ত ৷
সম্প্রতি এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী তাঁর বাড়িতে বিষয়টি জানায় ৷ বাড়ির লোক শিক্ষকের এই কীর্তির কথা জানতেই স্কুলে যান তাঁরা ৷ সেখানে স্কুলের অন্যান্য ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে, পুলিশের দ্বারস্থ হয় অভিভাবকরা ৷ অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্কুলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে ৷ আবাসিক ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা ৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অন্যান্য কর্মীদের ৷
আরও পড়ুন: স্কুল-ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার যুবক
সেই জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েকমাস আগে অন্য এক ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আশ্রমের রান্নার মহিলা কর্মীকে জানিয়েছিল ৷ তিনি বিষয়টি স্কুলের প্রিন্সিপালকে জানিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, তার পরেও কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখেনি ? বা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানায়নি ? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ তাঁর মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷ সেটি এফএলএস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে ৷