গোপেশ্বর (উত্তরাখণ্ড), 2 অগস্ট: উত্তরাখণ্ডের একটি আশ্রমে এক সন্ন্যাসীকে হাতুড়ি দিয়ে মেরে হত্যার অভিযোগ অপরজনের বিরুদ্ধে ৷ তারপরে সেই দেহ লুকিয়ে রাখা হল খাটের নীচে ৷ বুধবার এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বদ্রিনাথ শহরে ৷ ওই দুই সন্ন্যাাসী এক সঙ্গে ওই আশ্রমে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে ৷ মৃতের নাম সুঙ্করা রামদাস ৷ অভিযুক্তের নাম মালরেডি নবীন রেড্ডি ৷ তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ আশ্রমের পরিচালক পুরান সিং রানার কাছে তাঁর অপরাধ স্বীকার করেন অভিযুক্ত ৷ তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর । পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে ৷ দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, নবীন রেড্ডি সান্ত কুটিয়ার 14 নম্বর কটেজে থাকতেন ৷ আর 15 নম্বর কটেজে থাকতেন সুঙ্করা রামদাস ৷ সোমবার রাতে নবীন তাঁকে হত্যা করেন এবং সুঙ্করা দেহ নিজের বিছানার নীচে লুকিয়ে রাখেন তিনি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন । পরের দিন অভিযুক্ত পুরান সিং রানার কাছে গিয়ে জানান, তিনি রাগের মাথায় সুঙ্করাকে হত্যা করেছেন । তাঁর অর্থের প্রয়োজন ছিল এবং উত্তরাখণ্ডের গোপেশ্বর শহরের কাছে মন্ডলে তাঁর জমি তিনি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু সুঙ্করা এ কাজের জন্য তাঁকে বাধা দেন । এর জেরে তাঁকে তিনি হত্যা করেন ৷
আরও পড়ুন: বিহারে বাড়িতে ঢুকে মহিলা ও তাঁর 2 সন্তানের গলা কেটে খুন
আশ্রমের পরিচালক পুলিশকে জানানোর পর মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ৷ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, নবীন রেড্ডি এবং সুঙ্করা রামদাস তেলঙ্গানার নালগুদা চেরুপ্পল্লির বাসিন্দা এবং 2013 সাল থেকে তাঁরা একে অপরকে চিনতেন । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে ৷ হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷ সন্ন্যাসীর মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে আশ্রমে ৷