ETV Bharat / bharat

দেশব্য়াপী গ্রিন এনার্জির ব্যবসায় আসছে রিলায়েন্স, তিন বছরে বিনিয়োগ 75 হাজার কোটি

গ্রিন এনার্জির ব্য়বসা শুরু করছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৷ বৃহস্পতিবার তাঁর এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার মুকেশ আম্বানি ৷ এর জন্য তিন বছরে সব মিলিয়ে 75 হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে ৷ তার মধ্যে 60 হাজার কোটি টাকা খরচ হবে চারটি বিশাল কারখানা তৈরি করতে এবং সেগুলিকে সচল রাখতে ৷

reliance enters new energy business with Rs 75000 crore investment
দেশব্য়াপী গ্রিন এনার্জির ব্যবসায় আসছে রিলায়েন্স, তিন বছরে বিনিয়োগ 75 হাজার কোটি টাকা
author img

By

Published : Jun 24, 2021, 7:17 PM IST

মুম্বই, 24 জুন : আগামী দিনে তাঁর সংস্থা কীভাবে শক্তিসম্পদ সংক্রান্ত বাণিজ্যে (energy business) অগ্রসর হবে এবং কীভাবেই বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্ব মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করে নেবে, বৃহস্পতিবার সেটাই প্রকাশ্যে আনলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (Reliance Industries Ltd) কর্ণধার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ৷

এদিন এই প্রসঙ্গে মুকেশ বলেন, ‘‘2016 সালে জিওকে (Jio) বাজারে আনার পিছনে আমাদের নির্দিষ্ট একটা কারণ ছিল ৷ আমারা ডিজিট্য়াল মাধ্যমে গোটা ভারতকে জুড়তে চেয়েছিলাম ৷ আর 2021 সালে আমরা একটি নয়া শক্তিসম্পদ সংক্রান্ত ব্যবসা শুরু করছি ৷ এবার আমাদের লক্ষ্য হল, যে গ্রিন এনার্জি (green energy) দেশকে আলাদা করে, তাকে জুড়ে দেওয়া ৷’’

আরও পড়ুন : রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির বাজার দর পেরিয়ে গেল 14 লক্ষ কোটি টাকা

মুকেশ আম্বানির পরিকল্পনা হল, তিন বছরে 75 হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটি সামগ্রিক ব্য়বসায়িক পরিকাঠামো গড়ে তোলা ৷ যার মধ্যে তাঁর জ্বালানি থেকে টেলিকম, সব ব্য়বসাই থাকবে ৷ তৈরি করা হবে চারটি বিশাল মাপের কারখানা (four Giga factories) ৷ যা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তিসম্পদকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসবে ৷

এই প্রসঙ্গে মুকেশ বলেন, ‘‘প্রায় তিন শতাব্দী ধরে জীবাশ্ম জ্বালানি আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে ৷ কিন্তু আগামী দিনে সেটা আর সম্ভব নয় ৷ আমাদের পৃথিবীর সামনে একটাই বিকল্প রয়েছে ৷ আমাদের পরিশ্রুত, সবুজ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির দিকে এগোতে হবে ৷’’ এদিন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের 44তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে এই মন্তব্য করেন মুকেশ ৷ রিলায়েন্স কর্তা জানিয়েছেন, যে জামনগড় থেকে একটা সময় তাঁদের পুরনো শক্তি সংক্রান্ত বাণিজ্যের পত্তন হয়েছিল, আগামী দিনেও এই জামনগড় থেকেই গ্রিন এনার্জির ব্য়বসা শুরু করবেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়বে না দেশের কৃষিক্ষেত্রে : নীতি আয়োগ

মুকেশ তাঁর পরিকল্পনাকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হবে চারটি বিশাল মাপের কারখানা থেকে ৷ বাস্তুতন্ত্রে নতুন ধরনের শক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে যা কিছু জটিল উপাদান তৈরি করা দরকার, তার সবকটিই তৈরি হবে এই চারটি কারখানায় ৷ মুকেশ জানিয়েছেন, এই চারটি কারখানার মধ্যে একটিতে শুধুমাত্র সৌরশক্তি উৎপাদন করা হবে ৷ সেই শক্তি মজুত করে রাখার জন্য তৈরি করা হবে স্টোরেজ ব্যাটারি ফ্যাক্টরি ৷ এছাড়াও থাকবে একটি ইলেক্ট্রোলাইজার কারখানা এবং একটি ফুয়েল সেল ফ্য়াক্টরি ৷ এই তিনটি কারখানা উৎপাদিত সৌরশক্তির ব্য়বহারের পরবর্তী ধাপগুলি তৈরি করবে ৷

মুকেশ আম্বানি জানিয়েছে, শুধুমাত্র এই কাজেই আগামী তিন বছরে 60 হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে ৷ এরপর এই শক্তিসম্পদ যাতে বিভিন্ন শিল্প ও উৎপাদন ব্যবস্থায় ব্যবহার করা যায়, তা নিশ্চিত করতে আরও 15 হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে ৷ যা গোটা ভারতের বাস্তুতন্ত্রকে উন্নত করবে বলেই দাবি রিলায়েন্স কর্তার ৷

মুম্বই, 24 জুন : আগামী দিনে তাঁর সংস্থা কীভাবে শক্তিসম্পদ সংক্রান্ত বাণিজ্যে (energy business) অগ্রসর হবে এবং কীভাবেই বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্ব মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করে নেবে, বৃহস্পতিবার সেটাই প্রকাশ্যে আনলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (Reliance Industries Ltd) কর্ণধার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ৷

এদিন এই প্রসঙ্গে মুকেশ বলেন, ‘‘2016 সালে জিওকে (Jio) বাজারে আনার পিছনে আমাদের নির্দিষ্ট একটা কারণ ছিল ৷ আমারা ডিজিট্য়াল মাধ্যমে গোটা ভারতকে জুড়তে চেয়েছিলাম ৷ আর 2021 সালে আমরা একটি নয়া শক্তিসম্পদ সংক্রান্ত ব্যবসা শুরু করছি ৷ এবার আমাদের লক্ষ্য হল, যে গ্রিন এনার্জি (green energy) দেশকে আলাদা করে, তাকে জুড়ে দেওয়া ৷’’

আরও পড়ুন : রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির বাজার দর পেরিয়ে গেল 14 লক্ষ কোটি টাকা

মুকেশ আম্বানির পরিকল্পনা হল, তিন বছরে 75 হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটি সামগ্রিক ব্য়বসায়িক পরিকাঠামো গড়ে তোলা ৷ যার মধ্যে তাঁর জ্বালানি থেকে টেলিকম, সব ব্য়বসাই থাকবে ৷ তৈরি করা হবে চারটি বিশাল মাপের কারখানা (four Giga factories) ৷ যা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তিসম্পদকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসবে ৷

এই প্রসঙ্গে মুকেশ বলেন, ‘‘প্রায় তিন শতাব্দী ধরে জীবাশ্ম জ্বালানি আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে ৷ কিন্তু আগামী দিনে সেটা আর সম্ভব নয় ৷ আমাদের পৃথিবীর সামনে একটাই বিকল্প রয়েছে ৷ আমাদের পরিশ্রুত, সবুজ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির দিকে এগোতে হবে ৷’’ এদিন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের 44তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে এই মন্তব্য করেন মুকেশ ৷ রিলায়েন্স কর্তা জানিয়েছেন, যে জামনগড় থেকে একটা সময় তাঁদের পুরনো শক্তি সংক্রান্ত বাণিজ্যের পত্তন হয়েছিল, আগামী দিনেও এই জামনগড় থেকেই গ্রিন এনার্জির ব্য়বসা শুরু করবেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়বে না দেশের কৃষিক্ষেত্রে : নীতি আয়োগ

মুকেশ তাঁর পরিকল্পনাকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হবে চারটি বিশাল মাপের কারখানা থেকে ৷ বাস্তুতন্ত্রে নতুন ধরনের শক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে যা কিছু জটিল উপাদান তৈরি করা দরকার, তার সবকটিই তৈরি হবে এই চারটি কারখানায় ৷ মুকেশ জানিয়েছেন, এই চারটি কারখানার মধ্যে একটিতে শুধুমাত্র সৌরশক্তি উৎপাদন করা হবে ৷ সেই শক্তি মজুত করে রাখার জন্য তৈরি করা হবে স্টোরেজ ব্যাটারি ফ্যাক্টরি ৷ এছাড়াও থাকবে একটি ইলেক্ট্রোলাইজার কারখানা এবং একটি ফুয়েল সেল ফ্য়াক্টরি ৷ এই তিনটি কারখানা উৎপাদিত সৌরশক্তির ব্য়বহারের পরবর্তী ধাপগুলি তৈরি করবে ৷

মুকেশ আম্বানি জানিয়েছে, শুধুমাত্র এই কাজেই আগামী তিন বছরে 60 হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে ৷ এরপর এই শক্তিসম্পদ যাতে বিভিন্ন শিল্প ও উৎপাদন ব্যবস্থায় ব্যবহার করা যায়, তা নিশ্চিত করতে আরও 15 হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে ৷ যা গোটা ভারতের বাস্তুতন্ত্রকে উন্নত করবে বলেই দাবি রিলায়েন্স কর্তার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.