ETV Bharat / bharat

চা শ্রমিকদের মজুরি থেকে সিএএ, অসমে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের - সিএএ

ভোটমুখী অসমে সভা করলেন রাহুল গান্ধি৷ সাফ জানালেন, রাজ্য়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে বাড়বে চা শ্রমিকদের মজুরি৷ একইসঙ্গে সিএএ কার্যকর না করতে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিলেন কংগ্রেসের সাংসদ৷

Rahul Gandhi promises to hike wages of tea workers with money from Gujarat traders owning tea gardens
চা শ্রমিকদের মজুরি থেকে সিএএ, অসমে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে তোপ রাহুল গান্ধির
author img

By

Published : Feb 14, 2021, 9:18 PM IST

শিবসাগর (অসম), 14 ফেব্রুয়ারি: কৃষক ইশুতে লাগাতার আক্রমণের পর এবার কেন্দ্রের চা বাগান ও চা শ্রমিক নীতি নিয়েও সরব হলেন রাহুল গান্ধি৷ রবিবার ভোটমুখী অসমের একটি জনসভায় তাঁর আশ্বাস, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বাড়বে চা শ্রমিকদের মজুরি৷ আর সেই টাকা জোগানো হবে গুজরাতের ব্য়বসায়ীদের কাছ থেকে৷

প্রশ্ন হল, হঠাৎ করে অসমের চা শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভাবতে গিয়ে গুজরাতি ব্য়বসায়ীদের কেন নিশানা করলেন রাহুল? সভামঞ্চেই এর ব্যখ্য়া দিয়েছেন কংগ্রেসের সাংসদ৷ তিনি বলেন,‘‘এখনও অসমের চা শ্রমিকদের দৈনিক 167 টাকা মজুরিতে কাজ করতে হয়৷ অথচ গুজরাতের ব্য়বসায়ীরা এক-একটা চা বাগান কিনে বসে আছেন৷ আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, অসমের চা শ্রমিকদের জন্য দৈনিক 365 টাকা মজুরির ব্যবস্থা করব৷ কোথা থেকে আসবে সেই টাকা? টাকা আসবে গুজরাতের ব্য়বসায়ীদের কাছ থেকে৷’’

প্রসঙ্গত, অসমে বিজেপির শাসন রয়েছে৷ সাম্প্রতিক কালে এনআরসি নিয়ে চরম নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে অসমের মানুষকে৷ এনআরসিতে নাম না ওঠায় লাখ লাখ অসমবাসী নাগরিকের অধিকার হারিয়েছেন৷ তাঁদের ঠাঁই হয়েছে ডিটেনশন ক্য়াম্পে৷ যা নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি বিরোধীরা৷ এদিন বিরোধের সেই সুর ধরা পড়ে রাহুলের গলাতেও৷ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের কোনও শক্তিই অসমকে ভাঙতে পারবে না৷ যাঁরাই এখানে হিংসা আর ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করবেন, কংগ্রেস আর অসমের মানুষ একসঙ্গে তা প্রতিরোধ করবে৷’’ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এদিনের সভায় রাহুলকে একটি গামছা গায়ে দিতে দেখা যায়৷ যাতে লেখা ছিল ‘নো সিএএ’৷

আরও পড়ুন: মাথায় পাগড়ি বেঁধে ট্র্যাক্টর চালালেন রাহুল

সিএএ, এনআরসি নিয়ে এমনতিই ভীত, সন্ত্রস্ত অসমের মানুষ৷ ভোটমুখী রাজ্য়ে তাই এই ইশুটিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন রাহুল৷ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘যা হয় হোক৷ সিএএ হবে না৷’’

সিএএ ইশুতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের বিজেপি নেতা সর্বানন্দ সোনোওয়ালকেও তোপ দাগেন রাহুল৷ তাঁর অভিযোগ, সর্বানন্দ নামেই রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী৷ আদতে সবটাই চলে কেন্দ্রের নির্দেশে৷ রাহুল বলেন, ‘‘রিমোট কন্ট্রোলে টিভি চলতে পারে, অসমের মতো একটা রাজ্য কখনও চলে না৷ রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্য়ের মানুষের জন্য কাজ করা উচিত৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নাগপুর, দিল্লি আর গুজরাতের নির্দেশ মেনে কাজ করেন৷ তাতে অসমের ভালো হতে পারে না৷’’

শিবসাগর (অসম), 14 ফেব্রুয়ারি: কৃষক ইশুতে লাগাতার আক্রমণের পর এবার কেন্দ্রের চা বাগান ও চা শ্রমিক নীতি নিয়েও সরব হলেন রাহুল গান্ধি৷ রবিবার ভোটমুখী অসমের একটি জনসভায় তাঁর আশ্বাস, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বাড়বে চা শ্রমিকদের মজুরি৷ আর সেই টাকা জোগানো হবে গুজরাতের ব্য়বসায়ীদের কাছ থেকে৷

প্রশ্ন হল, হঠাৎ করে অসমের চা শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভাবতে গিয়ে গুজরাতি ব্য়বসায়ীদের কেন নিশানা করলেন রাহুল? সভামঞ্চেই এর ব্যখ্য়া দিয়েছেন কংগ্রেসের সাংসদ৷ তিনি বলেন,‘‘এখনও অসমের চা শ্রমিকদের দৈনিক 167 টাকা মজুরিতে কাজ করতে হয়৷ অথচ গুজরাতের ব্য়বসায়ীরা এক-একটা চা বাগান কিনে বসে আছেন৷ আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, অসমের চা শ্রমিকদের জন্য দৈনিক 365 টাকা মজুরির ব্যবস্থা করব৷ কোথা থেকে আসবে সেই টাকা? টাকা আসবে গুজরাতের ব্য়বসায়ীদের কাছ থেকে৷’’

প্রসঙ্গত, অসমে বিজেপির শাসন রয়েছে৷ সাম্প্রতিক কালে এনআরসি নিয়ে চরম নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে অসমের মানুষকে৷ এনআরসিতে নাম না ওঠায় লাখ লাখ অসমবাসী নাগরিকের অধিকার হারিয়েছেন৷ তাঁদের ঠাঁই হয়েছে ডিটেনশন ক্য়াম্পে৷ যা নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি বিরোধীরা৷ এদিন বিরোধের সেই সুর ধরা পড়ে রাহুলের গলাতেও৷ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের কোনও শক্তিই অসমকে ভাঙতে পারবে না৷ যাঁরাই এখানে হিংসা আর ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করবেন, কংগ্রেস আর অসমের মানুষ একসঙ্গে তা প্রতিরোধ করবে৷’’ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এদিনের সভায় রাহুলকে একটি গামছা গায়ে দিতে দেখা যায়৷ যাতে লেখা ছিল ‘নো সিএএ’৷

আরও পড়ুন: মাথায় পাগড়ি বেঁধে ট্র্যাক্টর চালালেন রাহুল

সিএএ, এনআরসি নিয়ে এমনতিই ভীত, সন্ত্রস্ত অসমের মানুষ৷ ভোটমুখী রাজ্য়ে তাই এই ইশুটিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন রাহুল৷ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘যা হয় হোক৷ সিএএ হবে না৷’’

সিএএ ইশুতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের বিজেপি নেতা সর্বানন্দ সোনোওয়ালকেও তোপ দাগেন রাহুল৷ তাঁর অভিযোগ, সর্বানন্দ নামেই রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী৷ আদতে সবটাই চলে কেন্দ্রের নির্দেশে৷ রাহুল বলেন, ‘‘রিমোট কন্ট্রোলে টিভি চলতে পারে, অসমের মতো একটা রাজ্য কখনও চলে না৷ রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্য়ের মানুষের জন্য কাজ করা উচিত৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নাগপুর, দিল্লি আর গুজরাতের নির্দেশ মেনে কাজ করেন৷ তাতে অসমের ভালো হতে পারে না৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.