নয়াদিল্লি, 4 অক্টোবর: সাংবাদিকদের বাড়িতে সাম্প্রতিক পুলিশ অভিযান এবং তাদের ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে সাংবাদিকদের সংস্থাগুলি । ওই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে ডিজিপাব নিউজ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ইন্ডিয়ান ওমেন্স প্রেস কর্পস ও প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া ৷ এছাড়াও আরও কয়েকটি সংস্থা রয়েছে ৷
ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে দেশের সাংবাদিকদের একটি বড় অংশকে এখন প্রতিহিংসার হুমকির মুখে কাজ করতে হচ্ছে ৷ এটা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে যে বিচার বিভাগকে একটি মৌলিক সত্যের সঙ্গে ক্ষমতাসীন মুখোমুখি হতে হবে ৷ আর সেই মৌলিক সত্য হল সংবিধানের কাছে আমরা সবাই জবাবদিহি করতে বাধ্য ৷
ওই সংগঠনগুলি সাংবাদিকদের ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা বন্ধ করার দাবি তুলেছে ৷ সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাঁদের ফোন বা ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা ৷ তাছাড়া তদন্তকারী সংস্থাগুলিরও জবাবদিহি চাওয়ার মতো নিয়ম তৈরির পক্ষেও তারা সরব হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল থেকে দিল্লি পুলিশ নিউজক্লিক নিউজ পোর্টালের 46 জন কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ৷ তালিকায় সাংবাদিক, সম্পাদক, লেখক ও অন্য কর্মীরাও ছিলেন ৷ সেই নিয়েই সাংবাদিকদের সংস্থাগুলি এই চিঠি প্রধান বিচারপতিকে লিখেছে ৷
সেই চিঠিতে তারা আরও লিখেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের প্রকাশিত খবর সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে, তাই ফৌজদারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে ৷ এটা আসলে সংবাদমাধ্যমকে দমন করার চেষ্টা ৷ এটাকে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবেও দেখা যেতে পারে ৷
একই সঙ্গে ওই চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, "আমরা বলছি না যে সাংবাদিকরা আইনের ঊর্ধ্বে । আমরা নই এবং হতেও চাই না । তবে, মিডিয়াকে ভয় দেখানো সমাজের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে প্রভাবিত করে । সাংবাদিক এবং সংবাদ পেশাজীবী হিসাবে, আমরা যেকোনও সত্যনিষ্ঠ তদন্তে সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত এবং ইচ্ছুক । যাই হোক, ব্যাপকভাবে সব বাজেয়াপ্ত করা এবং জিজ্ঞাসাবাদ অবশ্যই কোনও গণতান্ত্রিক দেশে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে না, যে দেশ নিজেকে 'গণতন্ত্রের মাতৃভূমি' বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু করেছে ।’’
সংবাদসংস্থা - পিটিআই
আরও পড়ুন: গ্রেফতার নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থ, ইউএপিএ ধারা দিল দিল্লি পুলিশ