নয়াদিল্লি, 30 মার্চ: নির্মীয়মাণ সংসদ ভবন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি সেখানে হাজির হন ৷ ঘুরে দেখেন নির্মীয়মান অংশের বেশ কিছু জায়গা ৷ পরির্দশন করেন লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন কক্ষও ৷ কথা বলেন নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷
তবে তাঁর এই পরিদর্শন পূর্ব নির্ধারিত নয় বলেই জানা গিয়েছে ৷ আচমকাই তিনি সেখানে হাজির হন ৷ সূত্রের খবর, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের কাছে এই বিষয়ে তথ্য থাকলেও সাধারণ নির্মাণ শ্রমিক ও নির্মাণের তদারকিতে যুক্ত কর্মীদের কাছে এই নিয়ে কোনও তথ্যই ছিল না ৷ ফলে আচমকা সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে দেখে কিছুটা বিস্মিতই হন তাঁরা ৷ কাজ ছেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতেই কিছুক্ষণের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা ৷
সূত্রের খবর, কীভাবে কাজ চলছে ? কী কী কাজ বাকি রয়েছে, সেই সব খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তার পর শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি ৷ তাঁদের কাজ করতে গিয়ে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কি না, সেটাও জানতে চান তিনি ৷ তবে এই বিষয়ে সরকারি তরফে এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি ৷
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অধীনে খোলনলচে বদলে যাচ্ছে সংসদ ভবনের ৷ নতুন করে তা তৈরি করা হচ্ছে ৷ কিছুদিন আগেই সংসদ ভবনের নির্মাণের সময়কার ছবি সামনে এসেছিল ৷ এবার সেই জায়গাগুলিই ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ তবে কবে কাজ শেষ হবে, আর কবেই বা এখানে অধিবেশন বসা শুরু হবে, সেই বিষয়ে সরকারি এখনও কিছু জানা যায়নি ৷
এখানে উল্লেখ করতেই হয় যে বর্তমান সংসদ ভবনে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন বসছে এখন ৷ গত 13 মার্চ বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগ শুরু হয়েছে ৷ কিন্তু একদিনও ঠিকমতো কাজ হয়নি ৷ শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষের হইহট্টগোলে রোজই বানচাল হয়েছে অধিবেশন ৷ কখনও কংগ্রেসের রাহুল গান্ধির ক্ষমা চাওয়ার দাবি, কখনও আদানি ইস্যুতে মোদি সরকারকে আক্রমণ আবার কখনও রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে হইচই চলছেই ৷ সেই পরিস্থিতিতে নির্মীয়মাণ নতুন সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর আচমকা পরিদর্শন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
আরও পড়ুন: 1.25 লক্ষ বার রাম নাম লিখলেই ঋণ দেয় বারাণসীর এই ব্যাংক
প্রসঙ্গত, 2020 সালের ডিসেম্বরে নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী । এটা তৈরি করছে টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড । শুরুতে 971 কোটি টাকা বরাদ্দ করা এই প্রকল্পের জন্য । গত বছর নভেম্বরে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু এখনও শেষ হয়নি ৷ ফলে নির্মাণ খরচ বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে । নতুন এই ভবনে সংসদের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখতে একটি কনস্টিটিশন হল তৈরি করা হচ্ছে । সাংসদদের জন্য থাকছে বিশেষ লাউঞ্জ, গ্রন্থাগার, বিভিন্ন কমিটির জন্য আলাদা ঘর, ডাইনিং রুম ।