মাদুরাই, 13 নভেম্বর: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর শনিবার রাতে মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত 6 জন ৷ যাঁদের মধ্যে রয়েছেন অন্যতম অভিযুক্ত আর পি রবিচন্দ্রন (Rajiv Gandhi Assassination Convict RP Ravichandran) ৷ 30 বছরের বেশি সময় পর কারাবাস থেকে মুক্তি পেয়ে রবিচন্দ্রন দাবি করলেন, ‘‘উত্তর ভারতের মানুষজনের আমাদের খুনি বা সন্ত্রাসবাদী হিসেবে নয়, ‘ভুক্তভোগী’ হিসেবে দেখা উচিত (People Should See Us as Victims Not Killers) ৷ সময়ই আমাদের ‘নিরাপরাধ’ হিসেবে বিচার করবে ৷’’
শক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তার বিশেষ ক্ষমতা বলে রাজীব গান্ধি হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত 6 জনকে মুক্তির নির্দেশ দেয় ৷ যার পর শনিবার রাতে মাদুরাই সেন্ট্রাল জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন নলিনী শ্রীহরণ, আর পি রবিচন্দ্রন, সন্থন, মুরুগন, রবার্ট পায়াস এবং জয়াকুমার ৷ জেল থেকে বেরিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে আর পি রবিচন্দ্রন বলেন, ‘‘উত্তর ভারতের মানুষজনের তাঁদের খুনি বা সন্ত্রাসবাদী হিসেবে নয়, ‘ভুক্তভোগী’ হিসেবে দেখা উচিত ৷ সময় এবং শক্তি নির্ধারণ করে কে সন্ত্রাসবাদী আর কে স্বাধীনতা সংগ্রামী ৷ কিন্তু সময় আমাদের নিরাপরাধ হিসেবে বিচার করবে ৷
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধি খুনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত 6 আসামিকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট
প্রসঙ্গত, রাজীব গান্ধি হত্যায় অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত নলিনী এবং রবিচন্দ্রন-সহ 6 জন তাঁদের মুক্তির আবেদন করেছিলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টে ৷ কিন্তু, মাদ্রাজ হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ এর পর তাঁরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ আদালত তাঁদের সেই আর্জি মেনে নিয়ে 30 বছরের বেশি সময় পরে কারামুক্তির নির্দেশ দেয় ৷ উল্লেখ্য এই নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত 18 মে মুক্তি পাওয়া আরেক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এজি পেরারিভালানের প্রসঙ্গ টানে ৷ সেখানে সংবিধানের 142 ধারা প্রয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করা হয় ৷ নলিনী এবং রবিচন্দ্রন-সহ বাকিদের ক্ষেত্রেও 142 ধারা প্রয়োগ করে মুক্তি দিয়েছে আদালত ৷