মালদা, 17 জুন: নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷ প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে মনোনয়ন পত্র জমা নিয়ে তরজা চলেছে ৷ বিশেষত নির্বাচন ঘিরে শাসকদলের একতরফা হামলা ও অসহযোগিতার একাধিক চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে ৷ এবার মালদার চাঁচলে স্বামীকে জেতাতে কংগ্রেস প্রার্থীর জাতিগত শংসাপত্রে স্বাক্ষর না-করার অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ আরও অভিযোগ, বিডিও প্রার্থীদের সাহায্য করছেন না ৷
চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের বীরস্থলী 243 নম্বর বুথে কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন জমা করেছেন ইউসুফ খান। ওই আসনটি ওবিসি সংরক্ষিত ৷ তাই স্ক্রুটনিতে শংসাপত্র পেশ করতে হবে ইউসুফ খানকে ৷ তার জন্য ওবিসি সার্টিফিকেট পেতে বংশ তালিকায় প্রয়োজন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বাক্ষর ৷ ওই বুথে আবার তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান আজমেরী খাতুনের স্বামী মোক্তার হোসেন ৷ সমস্যার শুরু সেখান থেকেই ৷ অভিযোগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বামীকে জেতাতে ইচ্ছে করে বংশ তালিকায় স্বাক্ষর করছেন না পঞ্চায়েত প্রধান ৷ বাধ্য হয়ে ব্লক অফিসের সামনে বিক্ষোভ করলেন কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ খান ৷
কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ খান বলেন, "আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি ৷ ওই আসন ওবিসি সংরক্ষিত হওয়ায় মনোনয়নের সঙ্গে ওবিসির শংসাপত্র প্রয়োজন ৷ শুক্রবার বিডিওকে ফোন করে শংসাপত্রে সই করার কথা বলি ৷ সেই সময় জানতে পারি পঞ্চায়েত প্রধান নেই, শহরে গিয়েছেন ৷ বাধ্য হয়ে বিডিও অফিসের সামনে আন্দোলনে করছি ৷ সই না পেলে মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যাবে ৷ বিডিও সাহায্য করছেন না ৷"
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কমিশন ও রাজ্য
চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি আনজারুল হক জনি বলেন, "শাসকদলের লোক দেখছে চাঁচলে এখন পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে ৷ শুধু চাঁচল নয় রাজ্যজুড়ে শাসকদলের একই অবস্থা ৷ তাই বিরোধীদের রুখতে বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করা হচ্ছে ৷ শংসাপত্র না পেয়ে প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন জমা না করতে পারে এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে শাসকদল ৷ এটা নতুন ঘটনা নয় ৷"
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারল না খোদ তৃণমূল, শোরগোল জেলায়
জেলা পরিষদের শাসকদলের বিদায়ী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে ৷ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য যে শংসাপত্র প্রয়োজন, সেই শংসাপত্র নাকি পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া হচ্ছে না ৷ এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন ৷ কারণ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ এই অভিযোগের সত্যতা থাকলে আগেই অভিযোগ করা যেত ৷ বিরোধীদের এই মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে কিছুই বলার নেই ৷
