বেঙ্গালুরু, 12 অগস্ট: ধর্ষণে বাধা পেয়ে প্রতিবেশী তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে কর্ণাটকের মহাদেবপুর থানার পুলিশ ৷ বৃহস্পতিবার রাতে ওই খুনের ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় মহেশ্বরীনগরে ৷ তদন্তে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ শনিবার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম কৃষ্ণ চাঁদ সেটি ৷ তিনি ওড়িশার বাসিন্দা ৷
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তরুণী ও তার দিদি কর্ণাটকের কালাবুর্গির বাসিন্দা ৷ তাঁরা মহাদেবপুর থানা এলাকার মহেশ্বরীনগরে থাকতেন ৷ গত তিন বছর ধরে তাঁরা একটি পেট্রল পাম্পে কাজ করছিলেন । বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীর দিদি পুলিশের কাছে বোনের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন । কিন্তু শুক্রবার ভোর 5টা নাগাদ ওই তরুণীর দেহ বাড়ির সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায় ।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে ৷ তদন্তকারীদের থেকে জানা গিয়েছে, দেহ দেখে তাঁদের প্রাথমিক কিছু সন্দেহ তৈরি হয় ৷ তার মধ্যে অন্যতম ছিল মেয়েটির পায়ে ধুলো না থাকা ৷ পুলিশের সন্দেহ হয় যে বাড়ির মধ্য়েই খুন করা হতে পারে ওই তরুণীকে ৷ তখনই প্রতিবেশী কৃষ্ণের উপর সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের ৷
প্রাথমিকভাবে পুলিশ প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ৷ তখন পুলিশকে স্থানীয় এক তরুণী জানান যে নিহত তরুণীকে কৃষ্ণের বাড়ির কাছেই বৃহস্পতিবার রাতে তিনি দেখেছিলেন ৷ তাছাড়া দেহ উদ্ধারের পরও বাড়ি থেকে বের হননি কৃষ্ণ ৷ কয়েকঘণ্টা ধরে বাড়ির মধ্যেই ছিলেন ৷ সেই সময় পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ৷ সেই জিজ্ঞাসাবাদে তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নেন পুলিশের দাবি ৷ পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷
পুলিশ জানিয়েছে, কৃষ্ণ চাঁদ সেটি বেঙ্গালুরুর একটি টেক পার্কে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন ৷ বৃহস্পতিবার রাতে রান্না করতে করতে বাড়ির বাইরে আসেন ওই তরুণী ৷ সেই সময় কৃষ্ণ তাঁকে বাড়ির ভিতর টেনে নিয়ে যায় ৷ ঘরে নিয়ে গিয়ে কৃষ্ণ তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ও জোর করে চুমু খায় । তখন ওই তরুণী বাধা দেন ৷ চিৎকার করার চেষ্টা করেন । এতে ভয় পেয়ে অভিযুক্ত পিছন থেকে এক হাত দিয়ে তাঁর নাক-মুখ ঢেকে অন্য হাত দিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে কৃষ্ণ । পুলিশ আরও জানিয়েছে, খুনের পর কৃষ্ণ দেহ বিছানার চাদরে মুড়িয়ে একটি ড্রামে রেখেছিলেন ও শুক্রবার ভোরে তিনি তা তাঁর বাড়ির সামনে ফেলে দিয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন: মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা ! বাধা দেওয়ায় ছেলেকে গুলি করার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে