নয়াদিল্লি, 16 সেপ্টেম্বর: কোভিডের সময় যে সকল শিশু অভিভাবকহীন হয়েছিল তাদের সাহায্যের জন্য পিএম কেয়ারস ফান্ডে আলাদা স্কিম তৈরি করেছিল কেন্দ্র। এই স্কিমের সুবিধা সব অনাথ শিশুই পেতে পারে কি না, তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কথায়, "কীভাবে অনাথরা বাবা, মা'কে হারিয়েছে, কীভাবে তার বাবা-মার মৃত্যু ঘটেছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যে অনাথ সে অনাথই ৷ তিনি আরও বলেন, "কোভিডের কারণে যে অনাথ হয়েছে আর যার মা, বাবা দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে; তাদের মধ্যে পার্থক্য করা ঠিক নয় ৷"
গতকাল, শুক্রবার এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল ৷ 5 জুলাই, 2018 আদালত একটি জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে নোটিশ জারি করেছিল ৷ ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে, এ নিয়ে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল বিক্রমজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছে। বেঞ্চ অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলের কাছে জানতে চায়, "কোভিড মহামারীর সময় অনাথ শিশুদের জন্য পিএম কেয়ার ফান্ডের যে স্কিমগুলি চালু করা হয়েছিল সেগুলিকে কি আরও প্রসারিত করা যেতে পারে।" অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছেন। আদালত তাঁকে চার সপ্তাহের সময় দিয়েছে ৷
এই বিষয়ে শুনানির সময়, অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ বলেন যে, 'পিএম কেয়ারস' স্কিমের অধীনে কোভিড -19 মহামারী চলাকালীন অনাথদের জন্য প্রসারিত সুবিধাগুলি সমস্ত অনাথদেরকে দেওয়া উচিত। মামলাকারী পৌলমি পাভিনি শুক্লা, যিনি ব্যক্তিগতভাবে এই মামলায় হাজির হয়েছিলেন, তিনি বলেন, "কোভিড মহামারী চলাকালীন অনাথ শিশুদের শিক্ষা অধিকার আইনে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। সে একই সুবিধা যাতে অন্য অনাথ শিশুদের ক্ষেত্রেও দেওয়া হয়।"
প্রধান বিচারপতি বলেন, "কোভিডের জন্য যাদের বাবা-মা মারা গিয়েছেন সেই সব অনাথ শিশুদের জন্য আপনারা সঠিক ভাবে স্কিমটি এনেছেন। কিন্তু একজন অনাথ তো অনাথই, বাবা-মা দুর্ঘটনায় মারা যান বা অসুস্থতায়। এই স্কিম এনে আপনারা একটি পরিস্থিতির শিকার হওয়া শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সার্বিকভাবে অভিভাবকহীন শিশুদের পাশে নয়।"
আরও পড়ুন: শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কেন 1 লক্ষ করে ভাতা পাবেন না ? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির