ETV Bharat / bharat

North-East's Border Disputes : উত্তর-পূর্বের সীমানা সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে অন্তত 157 জনের, দাবি রিপোর্টে - সীমানা সংঘর্ষ

উত্তর-পূর্বে সীমানা সংঘর্ষের জেরে (1979-2021) এখনও পর্যন্ত অন্তত 157 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ একটি সংস্থার রিপোর্টে সামনে এসেছে এই তথ্য ৷ ওই সংস্থার ডিরেক্টরের দাবি, সীমানা সমস্যা মেটাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও শীর্ষ আদালত নিযুক্ত কমিটির সদস্যদের প্রস্তাব বারবার খারিজ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি ৷ তার জেরেই সমস্য়া মিটছে না ৷ থামছে না সংঘর্ষও ৷

northeasts-border-disputes-claimed-157-lives-report
North-East's Border Disputes : উত্তর-পূর্বের সীমানা সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে অন্তত 157 জনের, দাবি রিপোর্টে
author img

By

Published : Aug 10, 2021, 6:07 PM IST

নয়াদিল্লি, 10 অগস্ট : 1979 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সীমানা সংক্রান্ত সমস্যার জেরে বারবার পড়শি রাজ্যগুলির সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েছে অসম ৷ আর তার ফলে প্রাণ দিতে হয়েছে অন্তত 157 জনকে ৷ আহত হয়েছেন কমপক্ষে 361 জন ৷ ভিটেমাটি ছেড়ে পালাতে হয়েছে প্রায় 66 হাজার মানুষকে ৷ রাইটস অ্য়ান্ড রিস্কস অ্য়ানালিসিস গ্রুপ (RRAG) নামে একটি সংস্থার তৈরি রিপোর্টে অন্তত এমনই দাবি করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Modi-Himanta Meet : সীমানা সমস্যা নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

মঙ্গলবার তাদের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে RRAG ৷ ‘উত্তর-পূর্বে সীমানা সমস্যা : দ্য রেঞ্জিং ওয়ার উইদিন’ শীর্ষক এই রিপোর্টে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, উত্তর-পূর্বের সীমানা সংক্রান্ত সমস্যায় যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিক ৷ এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে (Union Home Minister Amit Shah) চিঠি পাঠিয়েছেন সংস্থার ডিরেক্টর সুহাস চাকমা (Suhas Chakma) ৷ ওই একই চিঠি অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, মেঘালয়, মিজ়োরাম এবং নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীদেরও পাঠিয়েছেন তিনি ৷

সংস্থার হাতে আসা তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত (1979-2021) যে 157 জনের মৃত্যুর খবর সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যেই 136 জনেরই প্রাণ গিয়েছে অসম-নাগাল্য়ান্ড সীমানা সংঘর্ষে ৷ এছাড়া, অসম-অরুণাচলপ্রদেশ, অসম-মিজ়োরাম এবং অসম-মেঘালয়ের মধ্যে সীমানা সমস্যার জেরে যে সংঘর্ষ হয়েছে, তার ফলে যথাক্রমে 10, সাত এবং চারজনের মৃত্যু হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Border Clash : মিজ়ো সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর প্রত্যাহারের নির্দেশ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

একইভাবে মোট 361 জন আহতের মধ্যে 184 জনই জখম হয়েছেন অসম-নাগাল্যান্ড বিবাদে ৷ অসমের সঙ্গে মিজ়োরামের সংঘর্ষ চলাকালীন আহত হয়েছেন আরও 143 জন ৷ এছাড়াও অসম-মেঘালয় এবং অসম-অরুণাচলপ্রদেশের বিবাদে জখম হয়েছেন যথাক্রমে 18 এবং 16 জন ৷ লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, অসম ও মিজ়োরামের মধ্যে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে 2018 সাল থেকে ৷ আর তার জেরেই আহত হয়েছেন 143 জন ৷ পড়শি দুই রাজ্যের সম্পর্ক যে কেমন, তা এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট ৷

প্রশ্ন হল, স্বাধীনতার পর এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও কেন মিটছে না উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সীমানা সমস্যা ? তাঁর চিঠিতে এরও কারণ ব্যাখ্যা করেছেন চাকমা ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এই ধরনের সমস্যা তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি সাধারণত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ৷ কিন্তু সীমানা নির্ধারণ একটা বিশাল কাজ ৷ এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট খুব বেশি হলে একটি কমিটি তৈরি করে তার উপর এই কাজের দায়িত্ব দিতে পারে ৷ কিন্তু, সংশ্লিষ্ট কোনও রাজ্য যদি সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রতিনিধিদের প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করে, তাহলে কাজ এতটুকুও এগোয় না ৷’’

আরও পড়ুন : Assam-Mizoram border : অবরোধ উঠে গেলেও বন্ধ ট্রাক চলাচল, অসম-মিজ়োরাম সীমানায় টহল কেন্দ্রীয় বাহিনীর

অতীতে এমন ঘটনা বারবার ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চাকমা ৷ তথ্য বলছে, অসম-মেঘালয় সীমানা সমস্যায় বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড় কমিটির প্রস্তাব খারিজ করে দেয় মেঘালয় ৷ আবার 2014 সালে অসম-অরুণাচলপ্রদেশের মধ্যে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করে তিন সদস্যের একটি কমিটি ৷ কিন্তু, সেবার সেই কমিটির প্রস্তাব খারিজ করে দেয় অসম সরকার ৷ বারবার এমন ঘটনা পুনারাবৃত্তিই উত্তর-পূর্বের পরিস্থতি শান্ত হতে দিচ্ছে না বলে মত চাকমা ও তাঁর সংস্থার ৷

নয়াদিল্লি, 10 অগস্ট : 1979 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সীমানা সংক্রান্ত সমস্যার জেরে বারবার পড়শি রাজ্যগুলির সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েছে অসম ৷ আর তার ফলে প্রাণ দিতে হয়েছে অন্তত 157 জনকে ৷ আহত হয়েছেন কমপক্ষে 361 জন ৷ ভিটেমাটি ছেড়ে পালাতে হয়েছে প্রায় 66 হাজার মানুষকে ৷ রাইটস অ্য়ান্ড রিস্কস অ্য়ানালিসিস গ্রুপ (RRAG) নামে একটি সংস্থার তৈরি রিপোর্টে অন্তত এমনই দাবি করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Modi-Himanta Meet : সীমানা সমস্যা নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

মঙ্গলবার তাদের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে RRAG ৷ ‘উত্তর-পূর্বে সীমানা সমস্যা : দ্য রেঞ্জিং ওয়ার উইদিন’ শীর্ষক এই রিপোর্টে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, উত্তর-পূর্বের সীমানা সংক্রান্ত সমস্যায় যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিক ৷ এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে (Union Home Minister Amit Shah) চিঠি পাঠিয়েছেন সংস্থার ডিরেক্টর সুহাস চাকমা (Suhas Chakma) ৷ ওই একই চিঠি অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, মেঘালয়, মিজ়োরাম এবং নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীদেরও পাঠিয়েছেন তিনি ৷

সংস্থার হাতে আসা তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত (1979-2021) যে 157 জনের মৃত্যুর খবর সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যেই 136 জনেরই প্রাণ গিয়েছে অসম-নাগাল্য়ান্ড সীমানা সংঘর্ষে ৷ এছাড়া, অসম-অরুণাচলপ্রদেশ, অসম-মিজ়োরাম এবং অসম-মেঘালয়ের মধ্যে সীমানা সমস্যার জেরে যে সংঘর্ষ হয়েছে, তার ফলে যথাক্রমে 10, সাত এবং চারজনের মৃত্যু হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Border Clash : মিজ়ো সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর প্রত্যাহারের নির্দেশ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

একইভাবে মোট 361 জন আহতের মধ্যে 184 জনই জখম হয়েছেন অসম-নাগাল্যান্ড বিবাদে ৷ অসমের সঙ্গে মিজ়োরামের সংঘর্ষ চলাকালীন আহত হয়েছেন আরও 143 জন ৷ এছাড়াও অসম-মেঘালয় এবং অসম-অরুণাচলপ্রদেশের বিবাদে জখম হয়েছেন যথাক্রমে 18 এবং 16 জন ৷ লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, অসম ও মিজ়োরামের মধ্যে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে 2018 সাল থেকে ৷ আর তার জেরেই আহত হয়েছেন 143 জন ৷ পড়শি দুই রাজ্যের সম্পর্ক যে কেমন, তা এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট ৷

প্রশ্ন হল, স্বাধীনতার পর এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও কেন মিটছে না উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সীমানা সমস্যা ? তাঁর চিঠিতে এরও কারণ ব্যাখ্যা করেছেন চাকমা ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এই ধরনের সমস্যা তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি সাধারণত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ৷ কিন্তু সীমানা নির্ধারণ একটা বিশাল কাজ ৷ এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট খুব বেশি হলে একটি কমিটি তৈরি করে তার উপর এই কাজের দায়িত্ব দিতে পারে ৷ কিন্তু, সংশ্লিষ্ট কোনও রাজ্য যদি সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রতিনিধিদের প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করে, তাহলে কাজ এতটুকুও এগোয় না ৷’’

আরও পড়ুন : Assam-Mizoram border : অবরোধ উঠে গেলেও বন্ধ ট্রাক চলাচল, অসম-মিজ়োরাম সীমানায় টহল কেন্দ্রীয় বাহিনীর

অতীতে এমন ঘটনা বারবার ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চাকমা ৷ তথ্য বলছে, অসম-মেঘালয় সীমানা সমস্যায় বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড় কমিটির প্রস্তাব খারিজ করে দেয় মেঘালয় ৷ আবার 2014 সালে অসম-অরুণাচলপ্রদেশের মধ্যে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করে তিন সদস্যের একটি কমিটি ৷ কিন্তু, সেবার সেই কমিটির প্রস্তাব খারিজ করে দেয় অসম সরকার ৷ বারবার এমন ঘটনা পুনারাবৃত্তিই উত্তর-পূর্বের পরিস্থতি শান্ত হতে দিচ্ছে না বলে মত চাকমা ও তাঁর সংস্থার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.