পটনা, 19 অক্টোবর: বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির তাবড় নেতারা ক্রমাগত দাবি করে আসছেন যে খুব শীঘ্রই নীতীশ কুমার শিবির পরিবর্তন করতে চলেছেন। বিজেপির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। এর মাঝেই মহাত্মা গান্ধি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নীতীশ কুমারের বক্তব্য বিহারের রাজনীতিতে ফের একবার আলোড়ন তৈরি করেছে। মতিহারিতে মহাত্মা গান্ধি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উপস্থিতিতে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রসংশা শোনা গেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
বিশ্ববিদ্য়ালের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নীতীশ কুমার বলেন, "2007 সালে কেন্দ্রীয় সরকার অনেক রাজ্যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং জমি দেওয়ার বিষয়েও কথা হয়েছিল। 2009 সালে কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ করে। নরেন্দ্র মোদি বিহারকেও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্য়ালয় দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ৷ তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। এর জন্য আমি আপনাকে (মোদি) ধন্যবাদ জানাই।"
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "আমরা যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন সম্মান করব। আমরা বলেছিলাম চম্পারণে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে। মহাত্মা গান্ধি এখানে এসেছিলেন শুধু নয়, তিনি এখান থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকাও নিয়েছিলেন ৷ 2014 সালে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ৷ 2016 থেকে এখানে কাজ শুরু হয়। আমি খুব খুশি।"
মঞ্চ থেকেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও এদিন সোচ্চার হতে দেখা যায় নীতীশ কুমারকে। তিনি বলেন, "জাতীয় পর্যায়ে চম্পারণকে গুরুত্ব দিতে হবে।" একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি যেভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন, তার জন্য মঞ্চ থেকে ধন্যবাদও জানান নীতীশ ৷ তিনি বলেন, "যতদিন আমরা বেঁচে থাকব ততদিন আমরা তাঁকে (মোদি) সম্মান করব।" এরই পাশাপাশি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে নীতীশ কুমার বলেন, "এর আগে আমরা কংগ্রেসের থেকেও এই বিশ্ববিদ্য়ালয় চেয়েছিলাম ৷ সেসময় বলা হয়েছিল চম্পারণে এটা করা যাবে না। আপনারা কংগ্রেসের নেতারাই মহাত্মা গান্ধিকে ভুলে যাচ্ছেন ! আমি গয়া ও চম্পারণে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে বলেছিলাম।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "আমি দীর্ঘদিন ধরে চম্পারণে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। 2005 সালে আমরা প্রথমে এখান থেকে প্রচার চালাই ৷ আমাদের জয় হয় ৷ বাপু চম্পারণ থেকে এত বড় অভিযান শুরু করেছিলেন, তাই পুরো জাতীয় স্তরে এটিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।"
আরও পড়ুন: ডিকে শিবকুমারের এফআইআর বাতিলের আবেদন খারিজ কর্ণাটক হাইকোর্টে
নীতীশ কুমার মঞ্চ থেকেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশে বলেন, "এরপরে আপনি আসবেন, তখন আমরা আপনাকে দেখাব বাপু এখানে কতগুলি স্কুল করেছেন ৷ আমি আপনাকে নিয়ে যাব। এখানে কিছুই ছিল না। ছোটবেলা থেকেই তাই দেখা এসেছি ৷ সেজন্য আমার ইচ্ছা ছিল এখানে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হোক।"