ETV Bharat / bharat

Ladakh Hill Council: লাদাখে বড় জয় এনসি-কংগ্রেসের! রাজ্য ভাগের জবাব পেয়েছে বিজেপি, দাবি আবদুল্লা-মুফতিদের

লাদাখের পার্বত্য কাউন্সিলে বড় জয় পেল বিরোধীরা। বিজেপির হাত থেকে পর্ষদ ছিনিয়ে নিয়েছে এনসি এবং কংগ্রেস। তাদের দাবি, 2019 সালে যেভাবে কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করে জন্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিভাজন হয়েছিল তারই জবাব পেয়েছে বিজেপি।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 9, 2023, 7:27 AM IST

শ্রীনগর, 9 অক্টোবর: লাদাখের পার্বত্য উন্নয়ন পর্ষদে বড় জয় পেল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস। এতদিন ক্ষমতায় থাকা বিজেপিকে বড় ব্যবধানে হারতে হল। কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণার পর 2019 সালের অগস্ট মাসে প্রথম ভোট হয় এই পর্ষদে।পর্ষদের 26টি আসনের জন্য ভোট হয় 4 অক্টোবর। এর মধ্যে এনসি-র দখলে যায় 12টি আসন। কংগ্রেস পায় 10টি আসন। 2টি আসন পায় বিজেপি। নির্দলদের পক্ষেও যায় 2টি আসন।
এবারের নির্বাচনে মোট 85 জন প্রার্থী ছিলেন। সবচেয়ে বেশি 22টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এনসি। কংগ্রেস আর বিজেপি লড়াই করেছিল 17টি করে আসনে। লডাইয়ে ছিলেন 25 জন নির্দলও। মোট 95388টি ভোটের মধ্যে 74026টি ভোট পড়েছে এবার। সবমিলিয়ে বড় ব্যবধানে হারতে হল বিজেপিকে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীর বিভাজনের সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। তার বেশ কয়েক বছর বাদে লাদাখে এভাবে পরাজয় অবশ্যই অস্বস্তি দেবে কেন্দ্রের শাসক শিবিরকে। পরপর কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এই অস্বস্তি কীভাবে সামলায় তা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

বিরাট জয়ের পর স্বভাবতই স্বস্তিতে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি মনে করেন,যারা অসাংবিধানিক কায়দায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিভাজন করেছিল এই রায় তাদের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, "এই রায় দেখে বিজেপির সচেতন হওয়া উচিত। রাজভবন থেকে রাজ্যপালকে সামনে রেখে মনোনিত প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসন পরিচালনা বন্ধ করার বার্তাই দিয়েছেন লাদাখের ভোটাররা। এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে। গণতন্ত্রে মানুষের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়।"

সোশ্যাল মিডিয়ায় পিডিপি প্রধান মেহেবুবা মুফতি লেখেন, "এনসি এবং কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দল নির্বাচন জেতায় আমি খুশি। 2019 সালের বিভাজনের পর এটাই প্রথম নির্বাচন এবং তাতেই মানুষ তাঁদের জবাব দিয়েছেন।" এই নির্বাচনে পরাজয় অবশ্যই বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশের দাবি,পৃথক পর্ষদ গঠনের সময় বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি । সেগুলি পূরণ না হওয়াতেই হারতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এদিকে, গতবারের নির্বাচনের পরও এনসি এবং কংগ্রেসের হাতেই ছিল পর্ষদ। পরে কয়েকজন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করলে পর্ষদের রাশ যায় গেরুয়া শিবিরের হাতে। এবারের ভোটে তাঁদের হারতে হল।

আরও পড়ুন: লাদাখ সফরে বাইকার বেশে রাহুল, স্মরণ করলেন বাবাকে

শ্রীনগর, 9 অক্টোবর: লাদাখের পার্বত্য উন্নয়ন পর্ষদে বড় জয় পেল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস। এতদিন ক্ষমতায় থাকা বিজেপিকে বড় ব্যবধানে হারতে হল। কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণার পর 2019 সালের অগস্ট মাসে প্রথম ভোট হয় এই পর্ষদে।পর্ষদের 26টি আসনের জন্য ভোট হয় 4 অক্টোবর। এর মধ্যে এনসি-র দখলে যায় 12টি আসন। কংগ্রেস পায় 10টি আসন। 2টি আসন পায় বিজেপি। নির্দলদের পক্ষেও যায় 2টি আসন।
এবারের নির্বাচনে মোট 85 জন প্রার্থী ছিলেন। সবচেয়ে বেশি 22টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এনসি। কংগ্রেস আর বিজেপি লড়াই করেছিল 17টি করে আসনে। লডাইয়ে ছিলেন 25 জন নির্দলও। মোট 95388টি ভোটের মধ্যে 74026টি ভোট পড়েছে এবার। সবমিলিয়ে বড় ব্যবধানে হারতে হল বিজেপিকে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীর বিভাজনের সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। তার বেশ কয়েক বছর বাদে লাদাখে এভাবে পরাজয় অবশ্যই অস্বস্তি দেবে কেন্দ্রের শাসক শিবিরকে। পরপর কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এই অস্বস্তি কীভাবে সামলায় তা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

বিরাট জয়ের পর স্বভাবতই স্বস্তিতে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি মনে করেন,যারা অসাংবিধানিক কায়দায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিভাজন করেছিল এই রায় তাদের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, "এই রায় দেখে বিজেপির সচেতন হওয়া উচিত। রাজভবন থেকে রাজ্যপালকে সামনে রেখে মনোনিত প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসন পরিচালনা বন্ধ করার বার্তাই দিয়েছেন লাদাখের ভোটাররা। এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে। গণতন্ত্রে মানুষের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়।"

সোশ্যাল মিডিয়ায় পিডিপি প্রধান মেহেবুবা মুফতি লেখেন, "এনসি এবং কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দল নির্বাচন জেতায় আমি খুশি। 2019 সালের বিভাজনের পর এটাই প্রথম নির্বাচন এবং তাতেই মানুষ তাঁদের জবাব দিয়েছেন।" এই নির্বাচনে পরাজয় অবশ্যই বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশের দাবি,পৃথক পর্ষদ গঠনের সময় বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি । সেগুলি পূরণ না হওয়াতেই হারতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এদিকে, গতবারের নির্বাচনের পরও এনসি এবং কংগ্রেসের হাতেই ছিল পর্ষদ। পরে কয়েকজন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করলে পর্ষদের রাশ যায় গেরুয়া শিবিরের হাতে। এবারের ভোটে তাঁদের হারতে হল।

আরও পড়ুন: লাদাখ সফরে বাইকার বেশে রাহুল, স্মরণ করলেন বাবাকে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.