তিরুবনন্তপুরম, 2 নভেম্বর: কেরল সরকার এবং সে রাজ্যের রাজ্যপালের মধ্যে টানাপোড়েন আরও বাড়ল ৷ এ বার এই সংঘাত গিয়ে পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে ৷ রাজভবনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানাল কেরল সরকার ৷
কেরল সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছে ৷ তাদের অভিযোগ, রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলগুলি রাজ্যপাল ইচ্ছাকৃতভাবে বিবেচনা করতে বিলম্ব করছেন ৷ রাজ্য উল্লেখ করেছে যে, কিছু বিল 2 বছর ধরে রাজ্য়পালের কাছে আটকে রয়েছে ৷ সবমিলিয়ে মোট আটটি বিল রাজ্যপালের কাছে আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার ৷ শীঘ্রই আটকে থাকা এই বিলগুলি নিষ্পত্তি করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট যাতে রাজ্যপালকে নির্দেশ দেয়, সেই অনুরোধ করেছে সরকার ৷
তাদের রিট পিটিশনে কেরল সরকার দাবি করেছে যে, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন । গত কয়েক মাস ধরে কেরল সরকার আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ রিট পিটিশনটি প্রবীণ আইনজীবী এবং প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল তৈরি করেন । বিশিষ্ট আইনজীবী ফালি এস নরিম্যানের সঙ্গেও সরকার পরামর্শ করেছে । এর আগে, কেরলের রাজ্যপাল স্পষ্ট করেছিলেন যে তাঁর বিবেচনার জন্য যে বিলগুলি তাঁকে পাঠানো হয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে তাঁর কিছু সন্দেহ রয়েছে এবং তিনি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে দেখা করে সেই সন্দেহ দূর করার জন্য অপেক্ষা করছেন ।
আরও পড়ুন: ফোনে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিল বালক
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় উত্তর দিয়েছিলেন যে, বিলগুলি সম্পর্কে রাজ্যপালকে মুখ্যমন্ত্রীর ব্রিফ করার নিয়ম নেই । তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বিলগুলো নিয়ে রাজ্যপালকে অবহিত করেছেন । 2021 সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল, সংশোধনী 1 এবং 2, কেরল কো-অপারেটিভ সোসাইটি সংশোধনী বিল 2022, কেরল লোকায়ুক্ত সংশোধনী বিল 2022 এবং জনস্বাস্থ্য বিল 2021 কেরলের রাজ্যপালের সম্মতির অপেক্ষায় আটকে রয়েছে ৷ কেরল সরকারের যুক্তি হল যে, রাজ্যপালকে অন্তত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উপস্থাপিত বিলটি অবিলম্বে নিষ্পত্তি করতে হবে ।
কেরল রাজভবন এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ৷ তবে সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, সরকারের পদক্ষেপ আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে । রাজভবন এ বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের আইনি পরামর্শও নিয়েছেন ।
এর আগে, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং পঞ্জাব সরকারও বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল বিবেচনায় বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷